সোনারগাঁও উপজেলার আলেম-ওলামাদের উদ্যোগে রাষ্ট্রীয়ভাবে কাদিয়ানীদের অমুসলিম ঘোষণা ও তাদের সব কার্যক্রম নিষিদ্ধের দাবিতে এক প্রস্তুতিমূলক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (৮ নভেম্বর) দুপুরে সোনারগাঁ মডেল মসজিদের সভাকক্ষে এই মতবিনিময় সভা হয়।
আগামী ১৫ নভেম্বর ঢাকার ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সম্মিলিত খতমে নবুওয়াত পরিষদের উদ্যোগে অনুষ্ঠিতব্য মহাসমাবেশ সফল করার লক্ষ্যে এ সভার আয়োজন করা হয়।
সভায় উপজেলার বিভিন্ন মাদ্রাসার অধ্যক্ষ, শিক্ষক, ইমাম-খতিব ও আলেম-ওলামারা অংশ নেন। তারা বলেন, “আমাদের এক দফা এক দাবি কাদিয়ানীদের রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম ঘোষণা করতে হবে এবং তাদের সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ করতে হবে। অন্যথায় দেশজুড়ে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।”
বক্তারা আরও বলেন, “আগামী ১৫ নভেম্বর ঢাকার মহাসমাবেশে পরিষ্কারভাবে ঘোষণা দিতে হবে—কাদিয়ানীরা অমুসলিম। এখানে কোনো নাটকীয়তা বা বিকল্প রাস্তার সুযোগ নেই। এটি ১৮ কোটি মুসলমানের প্রাণের দাবি।”
সভায় বক্তারা নবী করীম (সা.)-এর বিদায় হজের ভাষণের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, “রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘আমি শেষ নবী, আমার পরে আর কোনো নবী আসবে না।’ অথচ কাদিয়ানীরা নবীর পরেও নবী আসবে বলে জাতিকে বিভ্রান্ত করছে। তাই রাষ্ট্রীয়ভাবে কাদিয়ানীদের অমুসলিম ঘোষণা জরুরি।”
সভায় সভাপতিত্ব করেন খতমে নবুওয়াত সংরক্ষণ কমিটি সোনারগাঁ শাখার সভাপতি হাফেজ মাওলানা মহিউদ্দীন খান।
সভা পরিচালনা করেন মুফতি সাঈদুর রহমান ও মাওলানা মুহাম্মাদুল্লাহ।উদ্বোধনী বক্তব্য দেন মুফতি জহিরুল ইসলাম ফারুকী।
সভায় সভাপতির বক্তব্যে হাফেজ মাওলানা মহিউদ্দীন খান বলেন,“নবুওয়াতের চূড়ান্ততার বিশ্বাসই মুসলমানের ঈমানের মূলভিত্তি। যারা নবীর পরে নবীর আগমন বিশ্বাস করে, তারা ইসলামের বাইরে।
তাই আমরা সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই রাষ্ট্রীয়ভাবে কাদিয়ানীদের অমুসলিম ঘোষণা করা হোক এবং তাদের বিভ্রান্তিকর কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হোক।”
তিনি আরও বলেন,“এই দাবি এখন শুধু আলেম সমাজের নয়, গোটা জাতির। ১৫ নভেম্বরের সমাবেশ হবে ঈমান ও ইসলামের চূড়ান্ততার আন্দোলনের এক ঐতিহাসিক দিন।”


































