নারায়ণগঞ্জে বৃষ্টি উপেক্ষা করে দেশ ও বিশ্বের শান্তি-সমৃদ্ধি কামনায় পবিত্র ঈদুল আজহার প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) সকাল সাড়ে ৭টায় মাসদাইরে কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
এতে জেলা প্রশাসক, এমপি শামীম ওসমান, স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর খোরশেদসহ রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিসহ সাধারণ মুসল্লিরাও ঈদের নামাজ আদায় করেন। সকাল থেকে বিভিন্ন এলাকার হাজার হাজার মানুষ ঈদগাহে আসেন। এরপর সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদের ২য় জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
এদিকে ঈদ জামাতকে কেন্দ্র করে কয়েক স্তরের নিরাপত্তায় দায়িত্ব পালন করেন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। কেন্দ্রীয় ঈদগাহে ঈদের নামাজ পড়ান নারায়ণগঞ্জ পুরাতন কোর্ট কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব মো. হাসানুজ্জামান। এর আগে সকাল থেকে টানা বৃষ্টি হয় নারায়ণগঞ্জে।
এছাড়াও জেলার বিভিন্নস্থানে চার হাজার দুই শতাধিক মসজিদ, ঈদগাহ মাঠ ও বিভিন্ন মসজিদে ঈদের জামাত আদায় করেন মুসুল্লিরা।
ঈদের নামাজ শেষে আল্লাহকে রাজী খুঁশি করার উদ্দেশ্যে ত্যাগের মহিমায় পছন্দের পশু কোরবানি করেছেন সামর্থ্যবান ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা। শহরের চাষাঢ়া, কলেজ রোড, জামতলা, মাসদাইরসহ বিভিন্ন এলাকার প্রতিটি সড়কে চলে পশু কোরবানি।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন নারায়ণগঞ্জের উপ-পরিচালক মো. জামাল হোসাইন জানান, কেন্দ্রীয় ঈদগাহে সকাল সাড়ে ৭টায় ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। এছাড়া এবার জেলার চার হাজার দুই শতাধিক মসজিদে ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এর মধ্যে অনেক মসজিদে একাধিক ঈদের নামাজ হবে।
ঈদের নামাজের নিরাপত্তা প্রসঙ্গে জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) গোলাম মোস্তফা রাসেল বলেন, ঈদের জামাত ও ঈদকে কেন্দ্র করে আমাদের নিরাপত্তার কোনো ঘাটতি নেই।
এদিকে পশুর বর্জ্য অপসারণের উদ্যোগ নিয়েছে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন। সংস্থাটির পরিচ্ছন্ন কর্মীরা পাড়া মহল্লার বর্জ্য ও শহরের বঙ্গবন্ধু সড়কের ময়লা অপসারণে কাজ করছে।
১৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ জানান, ঈদকে কেন্দ্র করে কোরবানি হচ্ছে আমার ওয়ার্ডের প্রতিটি এলাকায়। কোথাও যেন ময়লা সড়কে না ফেলা হয় সেজন্য আমি কোরবানি যারা করবেন তাদের কাছে গার্ভেজ পলি ও পর্যাপ্ত ব্লিচিং পাউডার দেওয়া হয়েছে। দুপুরের মধ্যে পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা সব ময়লা অপসারণ করতে সক্ষম হবে।