
নারায়ণগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী চুনকা পরিবারের সন্তান ও নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডাঃ সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেছেন, হোসাইনীয়া মমতাজিয়া চুনকা মাদ্রাসায় হেফজখানায় যে পড়বে তার সাথে বিভিন্ন বিষয়েও আলোচনা করতে হবে।
সে শুধু কুরআন মুখস্ত করবে তা হতে পারে না। কুরআন ছাড়া আর কিছু বলতে পারবে না তা হতে পারে না। ছোট বেলায় একটা বাচ্চা বিকশিত হয় বা তার ভেতর আদর্শ, নীতি, ন্যায়বোধ সৃষ্টি হয়।
৬ বছর থেকে ১০ বছরের মধ্যে বাচ্চারা বিকশিত হয়। সেটা সায়েন্টেফিক বলে, আমাদের মেডিক্যাল সায়েন্সে বলে।শিক্ষকরা ওই সময় বাচ্চাদের যে শিক্ষা দিবেন তখন সে তা শিখবে এবং ওই ধরনের শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে উঠবে।
জাতীয় প্রোগ্রাম, ধর্মীয় প্রোগ্রাম কিংবা যে কোন অনুষ্ঠান জাতীয় সংগীত গেয়ে শুরু করবেন। প্রতিদিন জাতীয় সংগীত গেয়ে ক্লাশ বা অনুষ্ঠান শুরু করবেন। শিক্ষার্থীদের শপথ বাক্য পাঠ করাবেন।
নারায়ণগঞ্জ মহানগরীর দেওভোগ এলাকার হোসাইনিয়া মমতাজিয়া চুনকা আলীয়া মাদ্রাসার বার্ষিক ক্রীড়া, ইসলামী সাংস্কৃতিক প্রতিযোগীতা-২০২৩ এর পুরস্কার বিতরনী এবং দাখিল পরীক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
হোসাইনীয়া মমতাজিয়া চুনকা সূন্নীয়া আলীয়া মাদ্রাসার সভাপতি মোহাম্মদ আলী রেজা রিপনের সভাপতিত্বে মাদ্রাসা মিলনায়তনে ১৯ মার্চ সকালে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ শরিফুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন মাদ্রাসার উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আব্দুল কাদির,কাশীপুর দারুসুন্নাহ কামিল মাদ্রাসার উপাধ্যক্ষ মুফতি আলী আকবর, কাদেরিয়া তৈয়্যবিয়া তাহেরিয়া মাদ্রাসার সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মোবারক হোসেন, ব্যবসায়ী আলহাজ্ব নিজাম মৃধা, রাজনীতিক জি এম আরাফাত।
অনুষ্ঠানে মাদ্রাসার সাধারণ সম্পাদক মুফতি ইকরাম হোসাইন খান,যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা চঞ্চল,সদস্য মাওলানা আইয়ুব আলী, সুপার মাওলানা সিরাজুল ইসলাম মনির,সহ সুপার মাওলানা জহিরুল ইসলাম ফরাজী, প্লে পেন ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের প্রধান শিক্ষক শারমিন বিথী ,সমাজসেবক আফসারউদ্দীন, আজিজুল ইসলাম তপন প্রমুখ উপস্হিত ছিলেন।
এ সময় মেয়র আইভী আরও বলেন, হোসাইনীয়া মমতাজিয়া চুনকা আলীয়া মাদ্রাসার জন্য ১২ শতাংশ ভূমি দান করেছি।মাদ্রাসা কমিটিতে আমার ছোটভাই আলী রেজা রিপন সভাপতি। আমরা কখনোই আইসা মাতব্বরী করিনা। আমার ছোটভাই সভাপতি সেও কিন্তু কখনোই মাতব্বরী করে না।
আপনাদের দিয়ে গেছি। সব দায়িত্ব আপনারাই পালন করেন। একটু চেষ্টা করেন মাদ্রাসার মান আরো ভালো হবে।দেশকে অনেক বেশি ভালো বাসতে হবে। পিতা-মাতাকে সন্মান দিতে হবে। পরিস্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে।
আমি ৩ দিন আগে ডিআইটিতে তৈয়্যবিয়া তাহেরিয়া মাদ্রাসার অনুষ্ঠানে গিয়েছিলাম।ওই মাদ্রাসার সাধারণ সম্পাদক মোবারক ভাইয়ের কথা সব সময় বলি। কেন বলি, কারন তার মধ্যে একটা মাদ্রাসা গড়ার মতো মহব্বত আছে। ওই মাদ্রাসায় ডিসিপ্লিন আছে। আমার মনে হয় তাদের কাছে আমাদের শিক্ষনীয় অনেক কিছু আছে।
একপর্যায়ে মেয়র আইভী শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলতে গিয়ে প্রশ্ন-উত্তর নেন। মেয়র বলেন, এ মাদ্রাসার নাম হোসাইনীয়া। হোসাইন কে ছিলো জানেন? শিক্ষার্থীরা সমস্বরে বলেন,নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কলিজার টুকরা ইমাম হাসান হোসাইন।
হোসাইনের পিতার নাম কি? শিক্ষার্থীরা বলেন, মাওলা আলী (রাদিঃ)। হোসাইনের মাতার নাম কি? শিক্ষার্থীরা বলেন, মা ফাতিমা (রাঃ)।
আপনাদের জাতির পিতার নাম কি? শিক্ষার্থীরা বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রীর নাম কি? শিক্ষার্থীরা বলেন, শেখ হাসিনা।
আপনারা বড় হলে কি হবেন? এক শিক্ষর্থী বলেন, ডাক্তার হবো। মেয়র বলেন, তাহলে ভালো করে পড়া লেখা করতে হবে। যদি ভালো করে পড়ালেখা না করো তাহলে ডাক্তার হতে পারবে না।