আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন চলাকালীন যে কোন দলের প্রার্থী যদি আচরণ বিধি লঙ্ঘন করেন তাদের বিরুদ্ধে লোক দেখানো কোন ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, তাদের সরাসরি প্রার্থীতা বাতিল করা হবে।
কোন প্রার্থী এ নির্বাচনে পোস্টার করতে পারবেন না। নির্বাচনে সব দলের প্রার্থী সমান ভাবে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবে বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম সরকার।
সোমবার (১ ডিসেম্বর) নারায়ণগঞ্জের বন্দরের সাইরা গার্ডেনে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের উদ্যোগে “নির্বাচন প্রক্রিয়ায় ভোটগ্রহণকারী কর্মকর্তাদের দায়িত্ব পালনে চ্যালেঞ্জসমূহ নিরসন ও উত্তরণের উপায়” শীর্ষক দিনব্যাপী একটি কর্মশালা অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, সরকার চিঠি দিয়ে নির্বাচন কমিশন কে অনুরোধ করেছে নির্বাচন এবং গণভোট করার জন্য। নির্বাচন কমিশন আইন কানুন বিধিবিধান সব কিছু করে প্রস্তুত। এই নির্বাচনের জন্য সকল মালামল ক্রয় করা হয়েছে।
এই মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহের ভিতরে আমরা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করবো। দুই মাস পরে যে তারিখে আমরা সিডিউল ঘোষণা করবো সে দিক থেকে কম-বেশি ৬০ দিনের ভিতর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। বিশেষ করে রমজান মাসের আগে আগামী ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
আনোয়ারুল ইসলাম সরকার আরোও বলেন, হলফনামায় যদি কোন প্রার্থী তথ্য গোপন করেন এবং কম-বেশি দেন সে ক্ষেত্রে সে নির্বাচিত হলেও তার পদবি বাতিল হবে। নির্বাচন চলাকালীন সময় প্রিজাইডিং অফিসার থাকবেন কেন্দ্রের কেন্দবৃন্দ।
প্রিজাইডিং অফিসারের নেতৃত্বে তার কেন্দ্রে ভোট ব্যবস্থাপনা করবেন। যদি এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় ফল ঘোষণার আগ পযন্ত কোন যদি অন্তরায় সৃষ্টি হয় তাহলে প্রিজাইডিং অফিসার ভোট কেন্দ্র বন্ধ করতে পারবে। রিটানিং অফিসার চাইলে পুরো আসনটাই বাতিল করতে পারবেন।
তিনি বলেন, ক্ষমতা প্রয়োগের ক্ষেত্রে রিটার্নিং অফিসারকে অঘাত ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে, পুলিশ অফিসারকে অনেক ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে এবং সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার দেওয়া হয়েছে। সুতরাং একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করার জন্য কোনো সংন্দেহের অবকাশ নাই যে এখানে ভিন্ন কিছু হবে।
কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন, নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান, নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মো: রায়হান কবির, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান মুন্সি, উপপ্রধান (উপসচিব) ও প্রকল্প পরিচালক নির্বাচন কমিশন সচিবালয় মুহাম্মাদ মোস্তফা হাসান, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন।
কর্মশালার সভাপতিত্ব করেন আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা (ঢাকা অঞ্চল) মো. ইউনুচ আলী। জেলা নির্বাচন অফিসের বাস্তবায়নে এ কর্মশালায় নির্বাচন সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা অংশ নেন।


































