বন্দরে বিয়ের অনুষ্ঠানে স্বামী-স্ত্রীসহ ৪ জনকে হত্যার উদ্দেশ্য কুপিয়ে জখম করে নগদ টাকা ও স্বার্ণালংকার লুটপাট করার মামলার ৭নং এজাহারভূক্ত আসামী বাদল (৪৭)কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃত বাদল বন্দর উপজেলার বালিগাাও এলাকার মৃত আজিজ মিয়ার ছেলে। গ্রেপ্তারকৃতকে উল্লেখিত মামলায় শনিবার (৪ মে) দুপুরে আদালতে প্রেরণ করেছে পুলিশ। গত শুক্রবার (৩ মে) রাতে বন্দর উপজেলার বালিগাও এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এর আগে গত রোববার ( ২৮ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৭টায় বন্দর উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের বালিগাও এলাকায় এ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনাটি ঘটে।
এ ব্যাপারে আহত জুলহাস মিয়া গত বৃহস্পতিবার (২ মে) বাদী হয়ে হামলাকারি সজিব, সোহান, আরাফাত, বাবু, সুমন, সাকিব ও বাদলকে আসামী করে ও আরো ২/৩ জনকে অজ্ঞাত নামা আসামী করে বন্দর থানায় এ মামলা দায়ের করেন । যার মামলা নং- ৩(৫)২৪ ধারা- ১৪৩/ ৪৪৭/ ৩০৭/ ৩২৩/ ৩২৬/ ৩৫৪/ ৩৭৫/ ৫০৬ পেনাল কোড ১৮৬০।
জানাগেছে, বন্দর উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের বালিগাও এলাকার ইসলাম মিয়ার ছেলে জুলহাস মিয়ার সাথে একই এলাকার বাদল মিয়ার ছেলে সজিবগং এর সাথে দীর্ঘ দিন ধরে পূর্ব শত্রুতা চলছিল।
এর ধারাবাহিকতায় গত ২৮ এপ্রিল জুলহাস মিয়ার মেয়ে সাদিয়া আক্তারের বিয়ের অনুষ্ঠান চলাকালিন সময়ে বালিগাও এলাকার বাদল মিয়ার ২ ছেলে সজিব ও সাকিব একই এলাকার আহাদ আলী মিয়ার ছেলে সোহান ও উল্লেখিত এলাকার সুমন মিয়া ও তার ২ ছেলে আরাফাত ও বাবু এবং একই এলাকার মৃত আজিজ মিয়ার ছেলে বাদল মিয়াসহ অজ্ঞাত নামা২/৩ জন ধারালো অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে জুলহাস মিয়ার মেয়ের বিয়ের অনুষ্ঠানে অর্তকিত হামলা চালায়।
ওই সময় হামলাকারীরা ঘরবাড়ি ব্যাপক ভাংচুর চালিয়ে নগদ ২ লাখ টাকা ও ১ ভরি ৬ আনা ওজনের স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেয়। ওই সময় হামলাকারিদের বাধা দিতে গিয়ে শাহিন (২২) শাকিল (২০) ও জুলহাস (৫৫) ও তার স্ত্রী পারুল বেগম (৪৭)কে হত্যার উদ্দেশ্য বেদম ভাবে কুপিয়ে ও পিটিয়ে শ্লীতাহানি করে পালিয়ে যায়।
স্থানীয় এলাকাবাসী আহতদের জখম অবস্থায় উদ্ধার করে বন্দর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরন করে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হলে পুলিশ গত শুক্রবার রাতে বালিগাও এলাকায় অভিযান চালিয়ে মামলার ৭নং এজাহারভূক্ত আসামী বাদলকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।
এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা এসআই মামুন জানান, এ মামলায় ৭ নং এজাহারভূক্ত আসামীকে গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করতে সক্ষম হই। বাকি আসামীদের গ্রেপ্তারের জন্য আমাদের অভিযান অব্যহত রয়েছে।