
বন্দরে পারিবারিক কলহের জের ধরে বৃদ্ধ দাদন আহাম্মেদ নাছির(৬৫) হত্যার ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হয়েছে।
এ ঘটনায় নিহতের দ্বিতীয় স্ত্রী রিনা বেগম ওরফে রমিজা বেগম বাদী হয়ে গত মঙ্গলবার (২০ মে) রাতে পাষন্ড সৎ মেয়ে ও জামাতাকে আসামি করে বন্দর থানায় এ হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এ ঘটনায় পুলিশ ধৃত ঘাতক জামাতা চঞ্চল (৫৫) কে বুধবার (২১ মে) দুপুরে ১৬৪ ধারা জবানবন্দী প্রদানের জন্য বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করেছে। গ্রেপ্তারকৃত চঞ্চল সুদূর সিরাজগঞ্জ জেলার সদর থানার রামঘাতি এলাকার মৃত শাকিলাল মিয়ার ছেলে।
বর্তমানে সে বন্দর রেল লাইন কলাবাগ খালপাড় এলাকায় দীর্ঘ দিন ধরে বসবাস করে আসছে। এর আগে গত মঙ্গলবার (২০ মে) সকাল ১০টায় বন্দর রেললাইন কলাবাগ খালপাড় এলাকায় এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে।
নিহতের দ্বিতীয় স্ত্রী রিনা বেগম ওরফে রমিজা জানান,প্রথম সংসারের মেয়ে ও জামাতা পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আমার সংসারের মেয়ে ঝিনুক আক্তারের সঙ্গে ঝগড়া ও মনমানল্য চলছিল।
এ ধারাবাহিকতায় গত সোমবার দুপুরে মেয়ে ঝিনুক আক্তার সৎ মেয়ে আনোয়ারা বেগমের বাসার সামনে দিয়ে নিজ বাসায় আসার পথে রাস্তায় দাড়িয়ে থাকা অবস্থায় থুথু ফালায়।
পরবর্তীতে বসত বাড়িতে এসে থুথু ফালানোর বিষয়কে কেন্দ্র করে পরিবারের লোকজনদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে আনোয়ারা বেগম।
দাদন আহাম্মেদ নাছির মেয়েকে গালিগালাজ করতে নিষেধ করে। এসময় বাবাকে সুযোগমতো পেলে প্রান নাশের হুমকি প্রদান করে।
গত মঙ্গলবার সকাল ১০ টার দিকে প্রতিদিনের ন্যায় বন্দর রেল লাইন কলাবাগ খালপাড় মেয়ে আনোয়ারার বসত বাড়ির সামনে দিয়ে কাজে হোশিয়ারীতে যাচ্ছিলাম। এসময় আমাকে পথরোধ করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে।
তাকে গালিগালাজ করতে নিষেধ করে প্রথমে আমাকে এলোপাতারী ভাবে কিল ঘুষি ও লাথি মারিয়া শরীরের বিভিন্নস্থানে নিলাফুলা জখম করে মেয়ে ও জামাতা।
এ মুহুর্তে স্বামী দাদন অটো রিক্সা নিয়ে হাজির হয়। রিক্সাতে উঠা মাত্রই মেয়ের জামাতা চঞ্চল মিয়া শশুরের দাড়িতে টেনে ধরে বুকের মধ্যে এলোপাতারী কিল ঘুষিতে মাটিতে লুটে পড়ে।
পরে ডাক চিৎকারে আশেপাশের লোকজন ছুটে এসে আমার স্বামীকে অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার করে বন্দর মা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষনা করেন। আমার স্বামীর হত্যার বিচার চাই।