
বন্দরে নিরীহ ব্যবসায়ীর বসত ৫টি ঘর ও স্বর্ণালংকারসহ ১৬ লক্ষাধিক টাকার মালামাল ক্ষতিসাধণের ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে। গত শনিবার রাত ব্যবসায়ী আব্দুর রশীদের পুত্র আল আমিন বাদী হয়ে ওই মামলাটি দায়ের করেন। যার নং ২৭(৫)২০২৫ইং।
মামলায় শাহিদা ও তার স্বামী শাহাদাৎ এবং পুত্র মোঃ আলী অজ্ঞাতনামা ৪০/৫০জনকে আসামী করা হয়। মামলায় উল্লেখ করা হয়,বিবাদীদের সঙ্গে দীর্ঘ দিন ধরে জমি নিয়ে বিরোধ চলছে। এ সংক্রান্তে আদালতে মামলাও বিচারাধীন রয়েছে।
এর জের ধরে উল্লেখিতরাসহ ৪০/৫০জন একজোট হয়ে যথাক্রমে রামদা চাপাতিসহ ধারালো অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে গত ১২ মে দুপুরে রুস্তমপুর খালপাড় এলাকাস্থ বাদী আল আমিনের বসত ঘরে অনধিকার প্রবেশ করে ঘরের লোকজনকে বেদম মারপিট করে গুরুতর জখম করে।
এ সময় শাহাদাৎ আল আমিনের স্ত্রী মাহমুদার গলায় থাকা ১ভরি ওজনের স্বর্ণের চেইন,২নং বিবাদী শাহিদা ঘরের আলমিরার ড্রয়ারে থাকা নগদ ৫লাখ টাকা নিয়ে যায়। যাওয়ার সময় শাহিদা-শাহাদাৎ ও তাদের ভাড়াটে গুন্ডারা ২টি বড় ও ২টি ছাপড়া ঘর এবং ঘরের প্রায় পৌণে ৭ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি করে।
হামলাকারীদের ভয়ে নিরীহ আল আমিনের পরিবারের সদস্যরা ডাকা চিৎকার করলে আশ পাশের লোকজন ঘটনাস্থলে ছুটে এলে অবস্থা বেগতিক বুঝে দ্রুত সটকে পড়ে। পরে আহত মাহমুদা ও ফালানী বেগমকে ধরাধরি করে বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানোর ব্যবস্থা করে।
এদিকে রোববার রাতে আসামীদের গ্রেফতারের জন্য গেলে তাদেরকে পাওয়া যায়নি। বাদী জানান,বন্দর পুলিশ ফাঁড়ির সাব-ইন্সপেক্টর আরিফ আসামীদেরকে গোপনে তথ্য দেয়ার কারণে তারা পালাতে সক্ষম হয়।
দারোগার সহযোগিতায় শাহিদা,তার স্বামী ও পুত্র আদালত থেকে জামিনে মুক্তি পায়। একজন আইনের লোক হয়ে মামলার আসামীদের পালাতে সহায়তার বিষয়টি সর্বমহলেই সমালোচনার ঝড় বইতে শুরু করছে। বাদী আল আমিন দারোগা আরিফের বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক বিভাগীয়ভাবে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।
অপরদিকে শাহিদা-শাহাদাৎ গং জামিনে মুক্ত হয়ে বর্তমানে নিরীহ আল আমিন ও তার পরিবারের সদস্যদেরকে হত্যার হুমকি দিয়ে বেড়াচ্ছে। তাদের ভয়ে বর্তমানে বাদী আল আমিন,ভূমি মালিক রশীদসহ পরিবারের সকল সদস্যরা আতংকে দিন কাটাচ্ছে। তারা শাহিদা গংয়ের বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক কার্যকরি ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে।