
নারায়ণগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মর্গ্যান গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ তদন্ত করতে গিয়ে বাধার মুখে পড়েছেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাশেদুল ইসলাম। বৃহস্পতিবার (২৯ মে) সকাল ১১টার দিকে এ ঘটনাটি ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, সকাল সাড়ে এগারোটার দিকে ম্যাজিস্ট্রেট রাশেদুল ইসলাম প্রতিষ্ঠানটিতে তদন্তের উদ্দেশ্যে প্রবেশ করেন।
কিছুক্ষণের মধ্যেই ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নুসরাত রেবেকা ও সরকারি প্রধান শিক্ষক বিনোদ কুমার দেবনাথ, শিক্ষক আব্দুল বাতেন, কামরুল ইসলাম, হায়াত মাহমুদ, মেহেদী হাসানসহ কয়েকজন শিক্ষক তাঁর প্রতি অসৌজন্যমূলক আচরণ শুরু করেন। অভিযোগ রয়েছে, তাঁকে ভুয়া ম্যাজিস্ট্রেট দাবি করে গালাগাল ও ধাক্কাধাক্কি করা হয়।
এ সময় বিদ্যালয় চত্বরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। শিক্ষার্থীদের ক্লাস থেকে নামিয়ে এনে ম্যাজিস্ট্রেট বিরোধী স্লোগান দেওয়া হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ম্যাজিস্ট্রেট প্রশাসনের সহায়তা চাইলে পুলিশ এসে তাঁকে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যায়।
বিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষক জুবায়ের আহমেদ, রামকৃষ্ণ, রাকিবুল ইসলাম রকি, আমির হামজা, মোফাজ্জল হোসেন, মাহাদী হাসান, এনামুল হক, খন্দকার শাহানুর শাহজালাল, আব্দুর রহমান, খাইরুল ইসলাম, মনির আক্তার, আরিফা আক্তার, নজরুল ইসলাম এবং কলেজ শাখার বাবুল হোসেন ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন বলে জানান। তাদের ভাষ্যমতে, কিছু শিক্ষক ম্যাজিস্ট্রেটকে অবরুদ্ধ করে রাখেন।
তারা আরও বলেন, দীর্ঘদিন ধরে প্রতিষ্ঠানটিতে স্থায়ী অধ্যক্ষ ও সহকারী প্রধান শিক্ষক না থাকায় নানা অনিয়ম ও দুর্নীতি চলছে। প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরে শৃঙ্খলার অভাব এবং ব্যক্তিস্বার্থে প্রশাসনিক ক্ষমতার অপব্যবহার চলছে বলেও অভিযোগ করেন তারা।
এ অবস্থায় জেলা প্রশাসনের প্রতি তারা আহ্বান জানান, ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নুসরাত রেবেকা ও সহকারী শিক্ষক বিনোদ কুমার দেবনাথকে অপসারণ করে একটি স্বচ্ছ ও শৃঙ্খলাপূর্ণ প্রশাসন নিশ্চিত করতে।
ঘটনার বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে অধ্যক্ষ নুসরাত রেবেকার পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
এবিষয়ে জেলা প্রশাসক মো. জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, বিষটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।