নারায়ণগঞ্জ টাইমস | Narayanganj Times

বৃহস্পতিবার,

১১ ডিসেম্বর ২০২৫

মর্গ্যান গার্লস স্কুলে পরীক্ষাকালীন সময়ে জামায়াত প্রার্থীর সভা,  ক্ষোভ

নারায়ণগঞ্জ টাইমস

প্রকাশিত:২২:০৩, ১১ ডিসেম্বর ২০২৫

মর্গ্যান গার্লস স্কুলে পরীক্ষাকালীন সময়ে জামায়াত প্রার্থীর সভা,  ক্ষোভ

নারায়ণগঞ্জ শহরের দেওভোগে অবস্থিত মর্গ্যান গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজে চলমান পরীক্ষার সময় রাজনৈতিক সভা অনুষ্ঠিত হওয়ায় শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

‎‎বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টা ৪০ মিনিট থেকে ১০টা পর্যন্ত জামায়াতের প্রার্থী মাওলানা মাইনুদ্দিন আহমদ শিক্ষকদের সঙ্গে অডিটোরিয়ামে বৈঠক করেন বলে জানা গেছে। ফলে নির্ধারিত সময়ের ১০ মিনিট বিলম্বে পরীক্ষা শুরু হয়।

‎‎শিক্ষকরা অভিযোগ করেন পরীক্ষা চলাকালীন এ ধরনের রাজনৈতিক সভা অনৈতিক এবং শিক্ষার পরিবেশকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। শিক্ষার্থীরাও পরীক্ষায় বিলম্ব হওয়ায় বিরক্তি প্রকাশ করে।

‎‎জানা গেছে, এদিন ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির ইংরেজি, অষ্টম শ্রেণির ‘বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়’, নবম শ্রেণির রসায়ন এবং ব্যবসায় উদ্যোগ পরীক্ষার শেষ দিন ছিল। প্রতিদিনের মতো সকাল ১০টায় পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও সেটি শুরু হয় ১০টা ১০ মিনিটে।

বিদ্যালয়ের মেসেঞ্জার গ্রুপে ‘পরীক্ষা সংক্রান্ত নির্দেশনা’ উল্লেখ করে শিক্ষকদের সকাল ৯টার মধ্যে উপস্থিত হতে বলা হয়। শিক্ষকরা মনে করেন, প্রকৃত উদ্দেশ্য গোপন রেখে এই সভা ডাকা হয়েছে।

‎‎স্কুল সূত্রে জানা যায়, সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের জামায়াত সমর্থিত প্রার্থী মাওলানা মাইনুদ্দিন আহমদ, মহানগর সেক্রেটারি ইঞ্জিনিয়ার মনোয়ার হোসেনসহ ৭–৮ জন নেতাকর্মী অডিটোরিয়ামে প্রবেশ করেন এবং নির্বাচনী প্রচারণার অংশ হিসেবে বক্তব্য প্রদান করেন। এতে পরীক্ষার সময়সূচিতে বিঘ্ন ঘটে এবং শিক্ষক–শিক্ষার্থীদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দেয়।

‎‎এ বিষয়ে মর্গ্যান গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নুসরাত রেবেকা বলেন, ‎“আজ বার্ষিক পরীক্ষার শেষদিন। ছুটি সংক্রান্ত কিছু নির্দেশনা দেওয়ার জন্য আমরা বসেছিলাম। হঠাৎ জামায়াতের প্রার্থী ঢুকে পড়েন। কেউ আপনার বাড়িতে এলে আপনি কি তাকে বসতে দেবেন না? আমরা জানতাম না তিনি আসবেন। তিনি শুধু শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন, কোনো সভা হয়নি।”

‎‎তবে বেশ কিছু শিক্ষক জানিয়েছেন, প্রার্থী সভা করেছেন ও ভোট চেয়েছেন—এমন অভিযোগের বিষয়ে তিনি সরাসরি কোনো জবাব দেননি। ‎‎ঘটনাটি ঘিরে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মাঝে ক্ষোভের পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও সমালোচনার ঝড় বইছে।