
বন্দরে চাচাত ভাইয়ের স্ত্রী সাথে মোবাইল ফোনে কথা বলার জের ধরে সন্ত্রাসী হামলায় ২ নারীসহ ৪ জন রক্তাক্ত জখম হয়েছে। ওই সময় হামলাকারিরা দুটি বসত ঘরে ব্যাপক ভাংচুর চালিয়ে ৮০ হাজার টাকা ক্ষতিসাধনসহ স্ট্রীল আলমারিতে রক্ষিত গরু বিক্রির নগদ ২ লাখ ২০ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায়।
সন্ত্রাসী হামলায় আহতরা হলো মাসুদা বেগম (৪২) লুৎফা বেগম (৪৫) আজিজুল হক (৬৫) ও অনি (২৮)। স্থানীয় এলাকাবাসী আহতদের জখম অবস্থায় উদ্ধার করে বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরণ করেছে।
এ ঘটনায় আহত অনি বাদী হয়ে বুধবার (১১ জুন) দুপুরে হামলাকারি হালিম, সেলিম, আব্দুল কুদ্দুস, ডালিম, মুক্তার, পারুল বেগম ও জেয়াসমিনের নাম উল্লেখ্য করে আরো ৭/৮ জনকে আসামী করে বন্দর থানায় এ অভিযোগ দায়ের করেন তিনি।
এর আগে গত মঙ্গলবার (১০ জুন) রাত পৌনে ১০টায় বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের উত্তর সাবদী এলাকায় এ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনাটি ঘটে। সন্ত্রাসী হামলার ঘটনার খবর পেয়ে বন্দর থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
অভিযোগের তথ্য সূত্রে জানা গেছে, বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের উত্তর সাবদী এলাকার আবু সাত্তার মিয়ার ছেলে অভিযোগের বাদী অনি মিয়ার বড় ভাই সনি দীর্ঘ দিন ধরে প্রবাসে জীবন যাপন করে আসছে। এ সুবাদে গত ৬ মাস পূর্বে অভিযোগের বাদী অনি বড় ভাই প্রবাসী সনি সাথে তারেই চাচাত ভাইয়ের স্ত্রী সুমাইয়া বেগমের সাথে ফোনে একদিন কথা হয়।
এ ঘটনার জের ধরে গত মঙ্গলবার রাতে বন্দর উপজেলার উত্তর সাবদী এলাকার আব্দুল কুদ্দুস মিয়ার হুকুমে তার তিন সন্ত্রাসী ছেলে হালিম, সেলিম ও ডালিম এবং জামাতা মুক্তার তার স্ত্রী জেয়াসমিন ও পুতুল মিয়ার স্ত্রী পারুল বেগমসহ অজ্ঞাত নামা ৭/৮ জন পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে দেশিয় অস্ত্রেসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে প্রবাসী সনি বসত বাড়িতে অনাধিকার ভাবে প্রবেশ করে অতর্কিত হামলা চালায়।
ওই সময় হামলাকারিরা বাড়ি ঘর ব্যাপক ভাংচুর চালিয়ে ৮০ হাজার টাকা ক্ষতি সাধনসহ স্ট্রীল আলমারি ভেঙ্গে গরু বিক্রির নগদ ২ লাখ ২০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। ওই সময় হামলাকারিরাদের বাধা দিতে গিয়ে উল্লেখিত ২ নারীসহ ৪ জন রক্তাক্ত জখম হয়।