
বন্দরে দরজা ভেঙ্গে দুই সন্তানের জননী নিপা রানী দাস (২৪) এর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে কামতাল তদন্ত কেন্দ্র পুলিশ। গত শুক্রবার (৮ আগস্ট) রাতে বন্দর উপজেলার আমৈরস্থ শরীফ মিয়ার ভাড়াটিয়া বাড়ি দরজা ভেঙ্গে ওই গৃহবধূ মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করে পুলিশ।
আত্মহত্যাকারী ২ সন্তানের জননী নিপা রানী দাস সুদূর কুমিল্লা জেলার মেঘনা থানার নয়া মোহাম্মদপুর এলাকার সদেব দাসের মেয়ে। আত্মহত্যাকারী গৃহবধূ পরিবারের অভিযোগ ভিত্তিতে শনিবার দুপুরে বন্দর থানা পুলিশ থানা চত্বর থেকে স্বামী অলক কুমার দাস (৩০) কে আটক করে।
আটককৃত স্বামী অলক কুমার দাস সুদূর ফরিদপুর জেলার কোতোয়ালি থানার ভেলাবাস এলাকার অমৃত দাসের ছেলে। এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
এ ব্যাপারে আত্মহননকারি গৃহবধূ মা মাধবী রানী গনমাধ্যমকে জানান, গত ৮ বছর পূর্বে সুদূর ফরিদপুর জেলার কোতোয়ালি থানার ভেলাবাস এলাকার অমৃত দাসের ছেলে অলক কুমার দাসের সাথে আমার মেয়ে নিপা রানী দাসের সামাজিক রীতিনীতি মেনেই বিয়ে হয়।
বিয়ের সময় মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে ২ ভরি স্বর্ণালংকার ও নগদ ১ লাখ টাকা যৌতুক হিসেবে প্রদান করা হয়। তাদের সংসারে ৬ বছরের ১টি কন্যা ও ২ বছরের ১টি পুত্র সন্তান রয়েছে।
বিয়ের পর থেকে স্বামী অলক কুমার দাস, তার পিতা অমৃত দাস ও দেবর বিশ্বজিৎ দাস বিভিন্ন সময়ে আমার মেয়েকে যৌতুকের জন্য শারীরিক ও মানসিক ভাবে নির্যাতন চালিয়ে আসছিল। স্বামী ও শ্বশুরবাড়ি লোকজনদের মানসিক নির্যাতন সইতে না পেরে আমার মেয়ে গত শুক্রবার রাত ১০টা থেকে ১১টার মধ্যে যে কোন সময়ে উল্লেখিত ভাড়াটিয়া ঘরে সিলিং ফ্যানের সাথে শাড়ী দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে।
এ ব্যাপারে বন্দর থানার ওসি লিয়াকত আলী জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। স্বামীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।