নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনে ২৫ নং ওয়ার্ডে সোবাড়িয়া বাজার হতে তাওলাদ মিয়ার বাড়ির পাশে রাস্তায় যাবার পথে প্রায় দুইশত পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই পানি জমে থাকে রাস্তায়।
শুধু চালাচলরত রাস্তায় নয় ঘরে ঢুকে পড়েছে পানি। নেই কোন ড্রেন ব্যবস্থা পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থার। দেখার যেন কেউ নেই। এর প্রতিকারে গত ১০ বছরেও কোন উদ্যোগ নিতে দেখা যায়নি।
বর্ষার মৌসুম এলে অনেক কষ্টে জীবন যাপন করেন নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনে ২৫ নং ওয়ার্ডের সোবারড়িয়া বাজার ও তার আশেপাশের প্রায় দুইশত পরিবার। পানিবন্দী হয়ে পড়ে তারা। হাটু থেকে কোমর পানি নিয়ে প্রতিনিয়ত যাতায়াত করে থাকে ভুক্তভোগী পরিবার গুলো।
আবুল হোসেন নামের একজন জানান, এখানে একটি মাত্র ড্রেন নির্মান করে দিলেই আমাদের সমস্যা সমাধান হয়ে যায়। কোথাও পানি সরতে পারে না দেখে বৃষ্টির পানি জমে ঘরে ঢুকে পড়ে। গত ১০ বছরে একটি ড্রেন নির্মাণ করেনি। স্থানীয় কাউন্সিলর এনায়েত হোসেনের ব্যাক্তি আক্রোশের কারনে এ এলাকার দিকে নজর তেমন দেয় না। দেখার যেন কেউ নেই।
মটর লাগিয়ে ও পানির কমানোর কোন ব্যবস্থা নেই। বহুবার ২৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর এনায়েত হোসেনকে বিষয়টা জানানো হলে ও কোন ফল পাইনি ভুক্তভোগী পরিবার গুলো, জমে থাকা পানি থেকে নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে অনেকে। তাই মাননীয় মেয়র ডাঃ সেলিনা হায়াত আইভীর হস্তক্ষেপ কামনা করছেন পরিবার গুলো।
স্থানীয়রা জানান, যেকোন সময় যাতায়াতের এক মাত্র রাস্তা এই তাউলাদ সাবের বিল্ডিং থেকে আসলামের বাড়ি পর্যন্ত হাঁটু থেকে কোমর পর্যন্ত পানি উঠেছে। পানিতে তলিয়ে গেছে খাবার পানির ওয়াসা লাইন ও রাস্তা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বৃষ্টির পানি জমে যাওয়ার সরার নেই কোন ব্যবস্থার কারনে পানি উঠে বাড়িঘর ডুবে যাচ্ছে।
২৫ নং ওয়ার্ড এলাকার বাসিন্দা আসলাম বলেন, গত ৩-৪ বছর যাবত আমরা এই পানি বন্ধী জীবন যাপন করছি আমাদের দেখার যেন কেউ নেই প্রতি বছর পেরিয়ে গেলেও এটার কোন ব্যবস্থা নেননি কাউন্সিলর ।
পাশের বাড়ির পানি গুলো নেমে এসে বাড়িঘরে পানি ঢুকে পড়ছে। বৃষ্টির কারণে রাস্তা পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ায় এই পানি দিয়েই প্রবেশ ও বের হতে হয় আমাদের সকলের।
তিনি আরো জানান, তবে রাতে ফের পানি বাড়তে পারে। হয়েছে। পানিবন্দী হয়ে পড়া পরিবার গুলোর দেখার যেন কেউ নেই। আমরা মেয়রের কাছে অনুরোধ করবো আপনি একটু সরজমিনে এসে দেখেন এখানে কি ভাবে পানিবন্দী হয়ে আমরা পরিবার গুলো কষ্টে জীবন যাপন করছি আপনি তো আমাদের অভিভাবক তাই আপনি এখানে একটি ড্রেন এর ব্যবস্থা করে দিলে আমরা প্রায় দুইশত পরিবার পানি থেকে মুক্তি পাবো এমনকি নানা রোগ আক্রান্ত থেকে মুক্তি পাবো।
