নারায়ণগঞ্জ টাইমস | Narayanganj Times

মঙ্গলবার,

৩০ এপ্রিল ২০২৪

প্রাইভেট না পাড়ার জের

বন্দরে বিএম স্কুলের শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীকে নির্যাতনের অভিযোগ

নারায়ণগঞ্জ টাইমস

প্রকাশিত:২২:১১, ১৩ মার্চ ২০২৩

বন্দরে বিএম স্কুলের শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীকে নির্যাতনের অভিযোগ

বন্দরে ঐতিহ্যবাহী বি. এম. ইউনিয়ন স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষক সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে ছাত্র নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে।  সোমবার (১৩ র্মাচ) ও রোববার (১২ র্মাচ) দুপুরে ১টায় স্কুলে ওই ছাত্র নির্যাতনের ঘটনাটি ঘটে।

 

এ ঘটনায় নির্যাতিত ছাত্রের পিতা গর্ভনিং বডির নিকট বিচার চেয়ে না পেয়ে এ ব্যাপারে রোববার দুপুরে শিক্ষক সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে বন্দর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। নির্যাতিত ক্ষুদে শিক্ষার্থী জুবায়ের আহাম্মেদ বন্দর আমিন আবাসিক এলাকার জাহিদ সরদারের ছেলে।  


জাহিদ সরদার জানান, আমার ছেলে জুবায়ের আহাম্মেদ বন্দর বিএম ইউনিয়ন স্কুল এন্ড কলেজে ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে খেলাপড়া করে আসছে সে একজন মেধাবী ছাত্র।। জুবায়ের  স্কুলে ভর্তি হওয়ার পর থেকে ৬ষ্ঠ শ্রেণী ইংরেজী শিক্ষক সাইফুল ইসলাম আমার ছেলেকে প্রাইভেট পড়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করে আসছে। 


আমার ছেলে প্রাইভেট পড়বে না বলে জানালে এ নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে কারনে বা অকারনে আমার ছেলে জুবায়ের আহাম্মেদকে ক্লাশের মধ্যে শাররিক ও মানসিক ভাবে নির্যাতন করে আসছে। আমার ছেলে বিষয়টি আমার কাছে জানালে আমি এ ব্যাপারে ইংরেজী শিক্ষক সাইফুল ইসলামের সাথে কথা বলি। 


সে আমাকেও জানায় আমার ছেলে যেন তার কাছে প্রাইভেট পড়ে। ওই সময় আমি অসম্মতি প্রকাশ করলে উল্লেখিত শিক্ষক আমাকেও বিভিন্ন ভাবে হুমকি দামকি দেয়। এক পর্যায়ে সে বলে আমার কাছে না পরলে সে কিভাবে বিএম স্কুলে পড়ে সে দেখে নিবে। এর ধারাবাহিকতায় গত রোববার (১২ র্মাচ) দুপুরে ইংরেজী ক্লাশ চলাকালে উক্ত শিক্ষক আমার ছেলেকে বেদম ভাবে পিটিয়ে নিলাফুলা জখম করে। 


এর ধারাবাহিকতায় সোমবার (১৩ র্মাচ) একই সময়ে ইংরেজী ক্লাশ চলাকালে শিক্ষক সাইফুল ইসলাম আবারও আমার ছেলেকে অকথ্য ভাষায় গালাগালিসহ বেদম ভাবে পিটিয়ে নিলাফুলা জখম করে। আমি স্থানীয় ভাবে বিচার চেয়ে না পেয়ে এ ব্যাপারে বন্দর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি।  


এ ব্যাপারে অভিযুক্ত ইংরেজী শিক্ষক সাইফুল ইসলামের সাথে যোগায়োগের চেষ্টা করা হলে তাকে মোবাইল ফোনে পাওয়া যায়নি। 


এ ব্যাপারে বিএম ইউনিয়ন স্কুল এন্ড কলেজের অভিভাবক প্রতিনিধি মহিউদ্দিন সিদ্দিকী জানান, ভ’ক্তভোগী ছাত্রের পিতা বিষয়টি আমাকে মুখিক ভাবে জানিয়েছে। আমি তাকে বলেছি  বিষয়টি সভপতি মহদয়সহ স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ এবং গর্ভনিং বডিকে জানিয়ে তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।  


বন্দর থানার অফিসার ইনর্চাজ মো. আবু বকর সিদ্দিক জানান, অভিযোগটি তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানা যাবে।