বন্দরে প্রয়াত সংসদ সদস্য নাসিম ওসমানের ছেলে আজমেরী ওসমানের নাম ভাঙ্গিয়ে আলোচিত ক্যাপ রোমান হত্যা মামলার আসামি দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী অনিক বাহিনী আবারও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। অনিক বাহিনীর প্রধান সন্ত্রাসী অনিক ক্যাপ রোমান হত্যা মামলায় বর্তমানে কারাবন্দি থাকলেও তার অনুপস্থিতে তার অনুগতরা এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে।
এলাকাবাসী জানিয়েছে, সন্ত্রাসী অনিক বাহিনীর অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে উঠেছে উপজেলার ঘারমোড়া, চর-ঘারমোড়াসহ বিভিন্ন এলাকার সাধারণ মানুষ। সন্ত্রাসী অনিক জেল হাজতে থাকার কারণে তার অপরাধ সম্রাজ্য নিয়ন্ত্রণ করছে তার পিতা মহিদ ও তারই সন্ত্রাসী ছোট ভাই সিফাত গং। উল্লেখিত সন্ত্রাসীরা এলাকায় চাঁদাবাজি, চোরাই তেলের ব্যবসা, সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালিয়ে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। এর ধারাবাহিকতায় গত শনিবার (১৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৭টায় বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের ঘারমোড়া এলাকায় এক ওরশ মোবারক অনুষ্ঠানে চেয়ারে বসাকে কেন্দ্র করে অনিক বাহিনীর সন্ত্রাসী হামলায় ২ যুবক আহত হয়। আহতরা হলো সজিব (২৮) ও রিফাত (২৫)। ওই সময় হামলাকারিরা আহতদের কাছ থেকে নগদ ১১ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায়। স্থানীয়রা আহতদের জখম অবস্থায় উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করেছে। এ ঘটনায় সন্ত্রাসী হামলায় আহত যুবক সজিবের বড় ভাই ওমর ফারুক বাদী হয়ে রোববার (১৭ ডিসেম্বর) দুপুরে অনিক বাহিনীর সেকেন্ড ইন কমান্ড সিফাত, মাহাবুব, রহিম বাদশা, জাহাঙ্গীর, মামুন, মিনান ও নাটেরগুড় মহিদের নাম উল্লেখ্য করে আরো ৮/১০ জনকে আসামী করে বন্দর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এলাকাবাসী গনমাধ্যমকে জানিয়েছে, আজমেরী ওসমানের নাম ভাঙ্গিয়ে ঘারমোড়া এলাকাসহ এর আশেপাশের এলাকায় একের পর এক সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালিয়ে আসছে সন্ত্রাসী অনিক বাহিনী। উল্লেখিত সন্ত্রাসীরা ঘারমোড়া এলাকায় আজমেরী ওসমানের বিশাল ছবি সাটিয়ে অফিস হিসেবে ব্যবহার করে সেখানে টর্চার সেল গড়ে তোলে দীর্ঘ দিন ধরে অনৈতিক কান্ড চালিয়ে আসছে। ওই সন্ত্রাসীদের অবৈধ অস্ত্রের ঝনঝনানিতে আতংকিত হচ্ছে সাধারণ মানুষ।
থানায় অভিযোগ দেয়া ওমর ফারুক জানায়, সন্ত্রাসী অনিক জেলে বসে অপরাধ কর্মকান্ড পরিচালনা করছে। অনিক বাহিনী কবল থেকে রেহাই পাওয়াসহ অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের জন্য জেলা পুলিশ সুপার ও বন্দর থানার নবাগত অফিসার ইনর্চাজের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করছে সচেতন মহল