দাবীকৃত চাঁদা না দেয়ায় ফতুল্লা থানাধীন কুতুবপুর ইউনিয়নের মুন্সীবাগে ডিস ও ইন্টারনেট ব্যবসায়ী মোঃ আনোয়ার হোসেনকে প্রাণনাশের হুমকী সহ নানা ভয়ভীতি দেখিয়ে ডিস এবং ইন্টারনেট সামগ্রী ভাঙচুর, লুটপাটের ঘটনায় চাঁদাবাজি মামলার আসামি মিজানসহ ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ। অন্য ৩ আসামি হলো-সোহেল, শওকত, কামাল।
শুক্রবার রাতে তাদের কে কুতুবপুর পাগলার আদর্শ নগর, মুন্সীবাগ এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
এই মামলার প্রধান আসামী শহীদ নগরের কিশোর গ্যাং লিডার মোজাহিদ, মুন্সীবাগের আসলাম, আনোয়ার, সাইফুল পলাতক রয়েছে। এই মুজাহিদ মিজানের বিরুদ্ধে ফতুল্লা থানায় আরো নানা অপকর্মের মামলা রয়েছে। কয়েকমাস আগে মোজাহিদ ফেন্সিডিল এবং ইয়াবা ট্যাবলেট সহ জেলা গোয়েন্দা সংস্থা (ডিবি পুলিশের) হাতে গ্রেপ্তার হয়েছিল মোজাহিদ।
মামলার বাদী আনোয়ার হোসেন জানায়, কুতুবপুর শহীদ নগরের শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী এবং কিশোর গ্যাং লিডার মোজাহিদ, মুন্সীবাগের মিজান, শওকত, সোহেল, আনোয়ার, আসলাম, কামালসহ কিছু কিশোর অপরাধী ইন্টারনেট ও ডিসের অফিস 'পুস্পিতা এন্টারপ্রাইজে' এসে প্রতিমাসে ১ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছে।
গত ১৪ মার্চ পূনরায় চাঁদা দাবি করে। দাবিকৃত চাঁদা না দিলে ব্যবসা বন্ধ করে দেয়ার হুমকি দেয়। এসময় চাঁদা দিবে না বলে জানালে প্রতিষ্ঠানের মালিক আনোয়ার হোসেনকে মারধর করে চলে যায়। ওইদিন মধ্যরাতে কিশোর অপরাধীরা ইন্টারনেট এবং ডিসের প্রায় ৭ লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফতুল্লা মডেল থানার উপ-পরিদর্শক আবু হানিফ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চাদাবাজি মামলার এজাহার নামীয় চার আসামিকে শুক্রবার রাতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ শনিবার তাদের কে আদালতে পাঠানো হয়েছে। পলাতক অপর আসামিদের গ্রেপ্তারের চেস্টা করা হচ্ছে বলে তিনি জানান।