
আড়াইহাজার উপজেলার কালাপাহাড়িয়া ইউনিয়নের খালিয়ারচর গ্রামে ফসলি জমিতে বালু ভরাট করার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় এক যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে।
এ জন্য তিনি কৌশলে একের পর এক কৃষিজমি দখল করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। আর জমি ভরাটের জন্য অপরিকল্পিতভাবে বালু ও মাটি তোলায় বিস্তীর্ণ এলাকায় ভাঙন শুরু হয়েছে। উচ্ছেদ আতঙ্কে রয়েছে আশেপাশের দরিদ্র পরিবার।
যুবলীগের ওই নেতার নাম আবু কালাম। তিনি ৯ নং ওয়ার্ড যুবলীগ সভাপতি ছিলেন। তার সাথে রয়েছে স্থানীয় কিছু আওয়ামী নেতাকর্মী।
সূত্রে জানা গেছে, গত ৭ জুলাই আবু কালাম তার দলবলসহ রূপচাঁন মিয়ার বাড়িতে গিয়ে হুমকি দেন যে, তারা উক্ত জমিতে বালু ভরাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এবং জমি প্রস্তুত না রাখলে পরিনাম ভালো হবে না।
রুপচান মিয়া ভয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কোন প্রতিবাদ না করতে পারলেও লোক মারফত তাদেরকে অনুরোধ করেন তারা যেন জমিতে এ কাজ না করে। কিন্তু তার সেই অনুরোধকে উপেক্ষা করে ৯ জুলাই সকাল থেকে উক্ত জমিতে জোড়পূর্বক বালু ফেলার কার্যক্রম শুরু করে তারা।
এ ঘটনা সাথে আবু কালাম ছাড়াও আরও জড়িত রয়েছেন স্থানীয় আওয়ামী নেতা মোতা, ফুল মিয়া, সিদ্দিক, হানুসহ আরও কয়েকজন। তারা দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় সাধারণ মানুষকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে বিভিন্ন অর্থনৈতিক কর্মকান্ড পরিচালনা করে আসছে।
খালিয়ারচর গ্রামটি মূলত আওয়ামী লীগ অধ্যুষিত একটি এলাকা হলেও গত ৫ আগস্টের পর সারা দেশে যখন আওয়ামী লীগের কার্যক্রম স্থগিত তখন আবু কালাম এর নেতৃত্বে এলাকায় ভয়ভীতি মারধর ও জমি দখলসহ নানা অপরাধমূলক কাজ চলমান রয়েছে।
বর্তমানে উক্ত ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার রূপচান মিয়া প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এবং দোষীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন।
আড়াইহাজার উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: সাজ্জাত হোসেন জানান, অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।