
নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন গণমাধ্যমে শনিবার (২ আগষ্ট) “সিদ্ধিরগঞ্জে চাঁদার টাকা নিয়ে বিএনপি নেতার আবেগঘন স্ট্যাটাস” শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদটি নিয়ে ভিন্নমত প্রকাশ করেছেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর জাসাস’র সাধারণ সম্পাদক ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপি যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ৮ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন স্বাধীন।
তিনি বলেন, সংবাদে চাঁদা নিয়ে যে বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে তা আসলে সঠিক নয়। মূলত দলের ত্যাগী নেতাকর্মীদের দু:খ দূর্দশা ও অর্থনৈতিক সংকটে আবেগপ্লাবুত হয়ে তিনি ফেসবুকে ওই স্ট্যাটাসটি দেন।
জাহাঙ্গীর হোসেন স্বাধীন বলেন- আমরা দীর্ঘদিন ধরে জেল, জুলুম, হামলা, মামলা ও নির্যাতন সহ্য করে বিএনপির রাজনীতি করে আসছি। দলের দু:সময়ে ত্যাগী নেতকর্মীদের নিয়ে রাজপথে আন্দোলণ করেছি। এসব নেতাকর্মীদের অনেকেই অর্থনৈতিকভাবে সংকটে অস্বচ্ছল জীবন যাপন করে আসছেন।
৫ আগষ্ট স্বৈরাচার ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন পর আওয়ামী দোসরা পালিয়ে গেলে দেশ রাহুর গ্রাস থেকে মুক্ত হয়, ফিরে আসে স্বাভাবিক জীবন যাত্রা।
এরপর স্থানীয়ভাবে বিভিন্ন কল কলকাখারা, পোশাক শিল্প প্রতিষ্ঠানের সাথে স্বল্প পুজিতে ছোট ছোট ব্যবসা ওইসব ত্যাগী নেতাদের দেখভালের দায়িত্ব দিয়ে তাদের কর্মসংস্থানের সূযোগ করে দেয়া হয়।
সেখান থেকে অর্জিত মুুনাফা দিয়ে তার পরিবার পরিজন নিয়ে জীবন যাপন করছে এবং দলের স্বার্থে বিভিন্ন কর্মনুচীতে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রেখে আসছে।
সম্প্রতি দলের মধ্যে বিভিন্ন নতুন নতুন মুখের সমাগম ঘটে। তারা নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্য দলের নাম ভেঙ্গে নানা অপকর্ম করে বেড়াচ্ছে এবং ত্যাগী নেতাকর্মীদের কর্মসংন্থানে হাত বাড়িয়ে সেটা দখল করে নিচ্ছে। এতে করে তৃনমূল ও ত্যাগী নেতাদের মধ্যে হতাশা ও আস্থা সংকটের সৃষ্টি হয়।
এসব কর্মকান্ডে আমিও বেশ চিন্তিত ও আবেগপ্লাবুত হয়ে পড়ি। তাই ফেসবুকে এ স্ট্যাটাসটি দিয়েছিলাম। এর সাথে চাঁদাবাজির কোনো সম্পৃক্ততা নেই। স্ট্যাটাসটি নিয়ে নানা বিভ্রান্তি সৃষ্টি হলে পরে তা প্রত্যাহার করে নেই।
মূলত যারা বিএনপির একনিষ্ট ত্যাগী কর্মী তারা কোনো চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী কিম্বা অপরাধের সাথে সম্পৃক্ত নয়। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি মানুষের সুখে দুঃখে আস্থার প্রতিক।