
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) পদশূন্য ১ মাস ১৩ দিন ধরে। ওসি বিহীন বর্তমানে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির ব্যাপক অবনতি হয়েছে।
স্থানীয় এলাকাবাসী ও সোনারগাঁ থানা পুলিশের সূত্রে জানা যায়, দেশের গুরুত্বপূর্ণ সোনারগাঁ থানার ওসির মত একটি গুরুত্বপূর্ণ পদ শূন্য থাকায় ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের কাঁচপুর সেতু থেকে মেঘনা সেতু এলাকা পর্যন্ত ১৬ কিলোমিটার এলাকায় প্রতিদিন ও রাতের বেলা চুরি ডাকাতি ও ছিনতাইয়ের ঘটনা পূর্বের যেকোনো সময়ের তুলনায় বেড়েছে। থানা এলাকার বিভিন্ন স্থানে মাদকের হাট বসেছে।
সর্বশেষ ৭ জুলাই নারাণগঞ্জের পুলিশ সুপার প্রত্যুষ কুমারের সই করা এক চিঠিতে এই নিয়োগ দেওয়া হয় ওসি ইসমাইল হোসেন। সোনারগাঁ থানায় যোগদানের ৩দিনের মধ্যে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি ইসমাইল হোসেনকে ক্লোজড করে ঢাকা রেঞ্জ ডিআইজি অফিসে সংযুক্ত করা হয়েছে।
১০ জুলাই (বৃহস্পতিবার) ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি রেজাউল করিমের এক স্বাক্ষরিত চিঠিতে এ আদেশ দেওয়া হয়েছে। এরপর দায়িত্ব পান পরিদর্শক (তদন্ত) রাশেদ খাঁন। এখন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) দায়িত্ব পালন করছেন তিনি।
স্থানীয় বাসিন্দা সুবীর বলেন, থানায় মামলা বা জিডি করতে গিয়ে তারা নানা হয়রানির শিকার হচ্ছেন। একাধিক অভিযোগ দীর্ঘদিন ঝুলে আছে। দ্রুত সমাধানের পরিবর্তে মানুষকে বারবার থানায় আসতে হচ্ছে।
স্থানীয় ব্যবসায়ী আব্দুর রহমান বলেন, থানায় ওসি না থাকায় সাধারণ মানুষের মামলা বা অভিযোগ সঠিকভাবে হচ্ছে না। পুলিশও দ্বিধায় থাকে, কোন সিদ্ধান্ত নেবে। এতে করে চুরি-ডাকাতির মতো ঘটনা বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপার প্রত্যুষ কুমার মজুমদারের ব্যবহৃত মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দেওয়া হলো ফোন রিসিভ করেন নাই তিনি।
নারায়ণগঞ্জ 'খ' সার্কেল এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আসিফ ইমাম জানান, এ বিষয়ে আমি অবগত। সার্কেল অফিস ওসি নিয়োগ দেয় না। রেঞ্জ অফিস ওসি নিয়োগ দেয়।