
ফতুল্লার শীর্ষ অস্ত্র ও মাদক কারবারি খালিদ হাসান ওরফে রবিনের গ্রেপ্তার দাবি করেছে এলাকাবাসী।
যার বিরুদ্ধে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদীর বিভিন্ন থানায় একাধিক মাদক ও অস্ত্র মামলা রয়েছে, সেই অপরাধী কিভাবে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ায়- তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সাধারণ মানুষ। দীর্ঘ দিন ধরে প্রশাসনের এক শ্রেণির অসাধু কর্মকর্তাদের সাথে হাত মিলিয়ে মাদক ব্যবসা করে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
জানাযায়, খালিদ হাসান ওরফে রবিনের মাদক ব্যবসা শুরু ২০১০ সালের দিকে। তবে প্রথম মামলা হয় ২০১৩ সালে। ওই বছর ১৫ এপ্রিল ফতুল্লা মডেল থানায় একটি মাদক মামলা দায়ের করা হয় তার বিরুদ্ধে। যেটির নম্বর- ৩২। ২০১৮ সালের ১৯ এপ্রিল আরো একটি মাদক মামলা দায়ের করা হয়। যার নম্বর-৮০।
২০২৩ সালের ১০ মে নরসিংদী জেলার শিবপুর থানা পুলিশের হাতে মাদক সহ গ্রেপ্তার হন রবিন। সে ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়। মামলা নম্বর-১২। একই বছর ১৬ আগস্ট ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের হাতে মাদক সহ গ্রেপ্তারের ঘটনায় তার বিরুদ্ধে আরো একটি মামলা দায়ের করা হয়। যার নম্বর-৪১।
২০২৩ সালের ৬ নভেম্বর ফতুল্লা মডেল থানায় তার বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের হয়। যার নম্বর-১১। এছাড়া ২০২২ সালের ১৩ জুন ঢাকা রমনা থানা পুলিশের কাছে মাদক সহ গ্রেপ্তার হন ফতুল্লার এই শীর্ষ মাদক কারবারি। ওই ঘটনায়ও একটি মামলা দায়ের করা হয় তার বিরুদ্ধে। যার নম্বর- ১৭/১৭৯।
সূত্রমতে, ফ্যাসিবাদ সরকারের পতনের পর প্রশাসন যখন মানসিকভাবে কিছু দূর্বল, ঠিক সেই সুযোগ নিয়ে নিজের মাদক ব্যবসা পুরোপুরি চাঙ্গা করেন রবিন। সে কুমিল্লা বর্ডার দিয়ে ফেন্সিডিল ও গাঁজা এবং কক্সবাজার থেকে সড়ক পথে ইয়াবার চালান নিয়ে আসেন। অনেক সময় তার মাদকের চালান আসে নৌপথেও।
রবিন রূপগঞ্জের চনপাড়া এলাকার মাদক ব্যবসায়ীদের কাছেও মাদক পাইকারী বিক্রি করে থাকেন। এছাড়া কুতুবপুর ইউনিয়নের শীর্ষ মাদক কারবারি মিঠুন নিজেও রবিনের কাছ থেকে মাদক পাইকারী নিয়ে থাকেন। এলাকাবাসী শীর্ষ এই মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তারের জোর দাবি জানিয়েছেন।