ফতুল্লার পিলকুনীতে মাদক ব্যবসা করতে বাধা দেয়ায় মাইচ্ছা আলম বাহিনীর এলাকাবাসীর উপর হামলা চালানোর চেষ্টা চালিয়েছে। পরে পুলিশের ধাওয়া খেয়ে সাথে আনা দেশীয় অস্ত্র ফেলে পালিয়েছে। পুলিশ বেশ কিছু ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার (২৫ আগস্ট) রাতে শিয়ারচর পিলকুনিস্থ পিয়ারা বাগান এলাকায়।
স্থানীয়রা জানায়, পেশাদার অপরাধী ব্ল্যাক মেইলিং গ্রুপের হোতা আলম ওরফে মাইচ্ছা আলম বেশ কিছুদিন ধরে পিলকুনি জামাইয়ের দোকান গলি, পিয়ারা বাগানসহ আশপাশ গলিতে বেশ কিছু কিশোরকে ব্যবহার করে মাদক বিক্রি করিয়ে আসছিলো। বিষয়টি এলাকার মুরুব্বিরা জানতে পেরে একত্রিত হয়ে এশার নামাজের পর মাদক বিক্রেতাদের মাদক বিক্রি না করার জন্য শাসিয়ে দেয়। এ ঘটনায় দেশীয় তেরী রামদা, চাপাতি, ধারালো অস্ত্রে- সস্ত্রে সজ্জিত হয় মাইচ্ছা আলম তার অন্যতম সহোযোগি তোফাজ্জল ওরফে মেজর ওরফে তুজু ডাকাতসহ ৩০/৪০ জনকে সাথে নিয়ে পিলকুনি জামাইয়ের দোকানের সামনে গিয়ে মুরুব্বিদের খোঁজ করতে থাকে। বিষয়টি এলাকাবাসী টের পেয়ে থানা পুলিশকে সংবাদ দিলে পুলিশ তৎক্ষনাৎ ঘটনাস্থলে পৌছে মাইচ্ছা আলম ও ডাকাত তুজু বাহিনীকে ধাওয়া দিলে তারা দৌড়ে পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ তল্লাশি চালিয়ে তাদের ফেলে যাওয়া বেশ কিছু ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে ঘটনাস্থলে যাওয়া ফতুল্লা মডেল থানার উপ-পরিদর্শক জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, নাঈম নামক একটি ছেলে মাইচ্ছা আলমের হয়ে পিলকুনি, জামাইয়ের দোকান গলিসহ আশপাশে ইয়াবা বিক্রি করে আসছিলো। এ ঘটনায় রিফাত নামক এক যুবক স্থানীয়দের নিয়ে নাঈমকে তাদের এলাকায় মাদক বিক্রি করতে নিষেধ করে।
এ বিষয়ে বুধবার রাতে কথা কাটাকাটি হয়। এর জের ধরে রাত সাড়ে ৯টার দিকে মাইচ্ছা আলম দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বাধা প্রদানকারী রিফাতকে খুজঁতে পিলকুনি জামাইয়ের দোকান গলিতে যায়। সংবাদ পেয়ে ফতুল্লা থানা পুলিশের একাধিক টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে মাইচ্ছা আলম বাহিনীকে ধাওয়া দেয়। এ সময় মাইচ্ছা আলম বাহিনী পালিয়ে গেলেও তারা বেশ কিছু ধারালো অস্ত্র ফেলে যায়। পুলিশ মাইচ্ছা আলম বাহিনীর সদস্যদের গ্রেফতারের চেস্টা করছে বলে তিনি জানান।