
সিদ্ধিরগঞ্জ থানা যুবলীগের আহ্বায়ক মতিউর রহমান মতির ঘনিষ্ট সহযোগী দেলোয়ার হোসেন ভূঁইয়া, আতাউর রহমান ও মেজবাহ ভূঁইয়া এখন বিএনপির নাম ভাঙিয়ে দাপটের সাথে অবৈধভাবে ড্রেজার ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।
নাসিক ১০ নং ওয়ার্ডের গোদনাইল পদ্মা জ¦ালানি তেল ডিপো সংলগ্ন বাগপাড়া এলাকায় জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করে চালিয়ে যাচ্ছে ড্রেজার ব্যবসা। ড্রেজারের পানিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করছেন এলাকাবসী।
জানা গেছে, গোদনাইল পদ্মা ডিপো সংলগ্ন শীতলক্ষ্যা নদীতে অবৈধভাবে ড্রেজার বসিয়েছে দেলোয়ার হোসেন ভূঁইয়া, আতাউর রহমান ও মেজবাহ ভূঁইয়া। সেখান থেকে ড্রেজারের পাইপ নিয়েছে জালকুড়ি দশপাইপ এলাকায়। ড্রেজার চলার সময় পাইবের বিভিন্ন স্থানে লিক হয়ে পানিতে তলিয়ে যায় বাসাবাড়ি।
এতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এলাকাবাসীর। বাদ যাচ্ছেনা মসজিদের মুসল্লিরাও। গত শুক্রবার জুম্মার নামাজ আদায় করতে মসজিদে যাওয়ার সময় একজন মসুল্লি ড্রেজারের পাইপ দিয়ে লিক হওয়া পানিতে পড়ে গিয়ে আহত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। গত আওয়ামী লীগ সরকার আমলে তাদের ড্রাজারের গর্তে পড়ে আদর কাজী (৬) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছিল।
স্থানীয়রা জানায়, নারায়ণগঞ্জের শীর্ষ সাবেক এক ছাত্রদল নেতার নাম ভাঙিয়ে দেলোয়ার হোসেন ভূঁইয়া, আতাউর রহমান ও মেজবাহ ভূঁইয়া দাপটের সাথে অবৈধভাবে ড্রেজার ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। অথচ তারা সিদ্ধিরগঞ্জ থানা যুবলীগের আহ্বায়ক ও নাসিক ৬ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর মতিউর রহমান মতির ঘনিষ্ট সহযোগী।
মতির আয়োজিত আওয়ামী লীগের বিভিন্ন দলীয় কর্মসূচিতে তাদের অংশগ্রহণ ছিল লক্ষনীয়। আওয়ামী লীগের দোসর দেলোয়ার হোসেনগং বীর দর্পে অবৈধভাবে এলাকায় ড্রেজার ব্যবসা করায় ক্ষোভ প্রকাশ করছেন স্থানীয় একাধিক বিএনপি নেতাকর্মীরা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে দেলোয়ার হোসেন ভূঁইয়া বলেন, ড্রেজারের বৈধতা আছে। আমরা অবৈধভাবে কিছু করছিনা। ড্রেজারের কারণে মানুষের দুর্ভোগ নয় বরং উপকার হচ্ছে। আওয়ামী লীগ কিংবা মতি আয়োজিত কোন অনুষ্ঠানে তিনি কখনো অংশ গ্রহণ করেন নি বলে দাবি করেন।