
সোনারগাঁয়ে দোকান ভাড়া নিয়ে প্রায় ১৭ বছর ধরে জোরপূর্বক দোকান দখল করে আছে! ভাড়ার টাকা চাইতে গেলে উল্টো পাঁচ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি ও মার্কেট মালিকসহ তার পরিবারের সবাইকে হত্যার হুমকি দেয় উপজেলার পৌর আওয়ামীলীগ নেতা মোয়াজ্জেম হোসেন মিন্টু। r
আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর ২০০৯ সাল থেকে সোনারগাঁ উপজেলার উদ্ববগঞ্জ (পৌরসভা) এলাকায় বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুল হক মার্কেটে প্রতি মাসে ৩ হাজার টাকা ভাড়া বাবদ একটি দোকান ভাড়া নিয়ে ব্যক্তিগত অফিস বানিয়েছেন আওয়ামীলীগের এই নেতা।
ভুক্তভোগী ফাতেমা ও তার পরিবারের লোকজন মিন্টুর কাছ থেকে ভাড়া চাইতে গেলে তিনি গালমন্দ করে উল্টো পাঁচ লক্ষ টাকা চাঁদাদাবী করে এবং হত্যার হুমকি দেয়। এ ঘটনায় সোনারগাঁ থানায় মোয়াজ্জেম হোসেন মিন্টুকে আসামি করে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী মার্কেট মালিক ফাতেমা আক্তার।
তিনি বলেন, ২০০৯ সাল থেকে উদ্ববগঞ্জ এলাকায় বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুল হক মার্কেটে প্রতি মাসে ৩ হাজার টাকা বাবদ আমার কাছ থেকে দোকান ভাড়া নেন। কিন্তু তিনি কোন মাসেই দোকান ভাড়ার টাকা পরিশোধ করতেন না।
২০০৯ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ভাড়া আসে ৫৭৬০০০ টাকা। দোকানের এই ভাড়া চাইতে গেলে আওয়ামী লীগ নেতা মিন্টু উলটো আমার কাছ থেকে ৫ লক্ষ টাকা চাঁদাদাবী করেন, লোকজনের সামনে আমার স্বামীকে ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে দিয়ে লাঠি নিয়ে তেরে আসে আমাদের মারার জন্য। চাঁদা দিলে আমার দোকান ছেড়ে দিবে বলেন। অন্যথায় আমার পরিবারের কেউ যদি দোকানে যায় তাহলে আমাদের হত্যা করবে বলেও হুমকি দেয়।
এ বিষয়ে আওয়ামীলীগ নেতা মোয়াজ্জেম হোসেন মিন্টু বলেন, দীর্ঘদিন যাবত আমি এখানে দোকান নিয়েছি কিন্তু আমাকে না জানিয়ে দোকান ভেঙ্গে দিয়েছে। দোকানের ভাড়া না দিয়ে উল্টো চাঁদাদাবী ও হত্যার হুমকি দিয়েছেন কথা জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান।
সোনারগাঁ থানার ওসি তদন্ত, রাশেদ হাসান খান জানান, এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।