নারায়ণগঞ্জ টাইমস | Narayanganj Times

সোমবার,

২৯ এপ্রিল ২০২৪

সম্মেলন ছাড়া কোন কমিটি মানবেন না ত্যাগী ও তৃনমূল কর্মীরা

শীঘ্রই গঠিত হচ্ছে বন্দর থানা আওয়ামী লীগ কমিটি, চলছে ব্যাপক বিচার বিশ্লেষণ

নারায়ণগঞ্জ টাইমস

প্রকাশিত:২২:১৬, ৩ মার্চ ২০২৪

শীঘ্রই গঠিত হচ্ছে বন্দর থানা আওয়ামী লীগ কমিটি, চলছে ব্যাপক বিচার বিশ্লেষণ

আসন্ন বন্দর উপজেলা নির্বাচনকে ঘিরে নানা আলোচনার মধ্য দিয়েই শুরু হয়েছে ক্ষমতাশীন দল আওয়ামীলীগের নতুন কমিটি নিয়ে উত্তেজনা।  

নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের আওতাধীন বন্দর থানা কমিটি শীঘ্রই গঠিত হচ্ছে এমন সংবাদে নড়েচড়ে বসেছেন দলটির তৃনমুল কর্মীরা। 

সিটি কর্পোরেশন এলাকার আওতায় পরা মোট ৯টি ওয়ার্ড নিয়ে এই নতুন থানা কমিটির নেতৃত্বে কারা কারা আসবেন বা আসতে যাচ্ছেন এনিয়ে চলছে ব্যাপক বিচার বিশ্লেষন।

চলতি মাসের মধ্যেই এই কমিটি ঘোষনা করা হতে পারে এমনটি শোনা গেলেও ত্যাগী ও তৃনমূল কর্মীদের দাবী, সম্মেলন ছাড়া কোন কমিটি ঘোষনা করলে তারা মানবেন না। 

কারণ, ইতিমধ্যেই এসব ওয়ার্ড কমিটি ঘোষনার পরপরই কর্মীদের তোপের মুখে পরেছেন মহানগরের সভাপতি আনোয়ার হোসেন ও সাধারন সম্পাদক এডভোকেট খোকন সাহা।

খোদ সিটি মেয়র  সেলিনা হায়াত আইভী এক সভায় আনোয়ার হোসেনকে অবাঞ্ছিত ঘোষনা করে খোকন সাহার চরম সমালোচনা করেছেন। 

শোনা যাচ্ছে, ঘোষিত ঐ সব কমিটি নিয়ে, বিশেষ করে বন্দরের ৯টি ওয়ার্ডে ঘোষনাকৃত সভাপতি ও সাধারন সম্পাদকের নাম নিয়ে না খোশ হয়েছেন প্রভাবশালী এমপি শামীম ওসমানও।

কারণ ওই সকল ঘোষিত পদের কেউ কেউ যুদ্ধাপরাধী পরিবারের সদস্য, কেউ বিএনপি করছেন আবার কেউ কেউ একেবারেই অযোগ্য। 

কারো বিরুদ্ধে রয়েছে সিমেন্ট ফ্যাক্টরী থেকে শুরু করে বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানে চাঁদাবাজির অভিযোগ। কারো কারো বিরুদ্ধে রয়েছে মাদকের সাথে সংশ্লিষ্ঠতার অভিযোগ।

এদিকে দলীয় সূত্র জানায়, বন্দর থানা কমিটি গঠন করা হলে পূর্বের উপজেলা কমিটিও বহাল থাকবে, তবে সেই উপজেলার আওতাধীন থাকবে শুধু মাত্র বন্দরের ৫টি ইউনিয়ন।

বন্দর থানা কমিটির সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক পদে শোনা যাচ্ছে বে কয়েকজন প্রবীন ও ত্যাগী নেতার নাম। তবে কর্মীদের দাবী, এই পদে মহানগর আওয়ামীলীগের নেতা হুমায়ন কবীর মৃধাই যোগ্য। 

বিভিন্ন ওয়ার্ডের ত্যাগী নেতাকর্মীরা বলছেন, এমনিতেই যে ওয়ার্ড কমিটি ঘোষনা করা হয়েছে তাতে বন্দরের আওয়ামীলীগের রাজনীতিকে কফিনে প্রেরণ করা হয়েছে।

এর মধ্যে থানা কমিটিতেও যদি ত্যাগী ও প্রকৃত কর্মী বান্ধব কাউকে না দেয়া হয় তবে বন্দরের আওয়ামীলীগের রাজনীতির কবর রচনা হয়ে যাবে।

তারা বলছেন, থানা কমিটি গঠন হলে উপজেলা চেয়ারম্যান ও সভাপতি আব্দুর রশীদ ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক কাজিম উদ্দিনের কোন হস্তক্ষেপ থাকবে না।

সেক্ষেত্রে হুমায়ন মৃধা ছাড়া অন্য কোন সিনিয়র নেতা নেই যার কাছে কর্মীরা যেতে পারেন। প্রায় ৪৩ বছরের রাজনৈতিক জীবনে হুমায়ন মৃধা দলকে ও কর্মীদের আগলে রেখেছেন।

এই পদে আলহাজ¦ আবেদ হোসেন, ওসমান গনি ভূইয়ার নাম শোনা গেলেও কর্মীরা বলছেন দল পরিচালনা করার যোগ্যতা বা কর্মী সমাগমের যোগ্যতা এই দুই জনের নেই।তাছাড়া তারা ২জনই পার্টটাইম রাজনীতি করেন।

অপরদিকে বন্দর থানা সাধারন সম্পাদক পদে শোনা যাচ্ছে সাবেক কাউন্সিলর ফয়সাল মোহাম্মদ সাগর, কাউন্সিলর মো: শাহিন মিয়া ও সাবেক কাউন্সিলর আনোয়ার হোসেন আনুর নামও।

এর মধ্যে ১৯ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ফয়সাল মোহাম্মদ সাগর পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবীদ হিসেবে পরিচিত বলে জানান কর্মীরা।  

এব্যাপারে একাধিক আওয়ামীলীগ নেতা বলেন, আমরা চাই বন্দর থানা আওয়ামীলীগের কমিটিতে ত্যাগী এবং পরিচ্ছন্ন ও স্বচ্ছ ইমেজের অধিকারীদের মুল্যায়ন করা হোক।

ওয়ার্ড কমিটির মত থানা কমিটি হাইব্রিড নেতা জামায়াতে ইসলামীর রাজাকারের ছেলেদের ও মুক্তিযোদ্ধা হত্যা কারির ছেলে নিয়ে যেনো না করা হয়। 

বন্দরে অনেক ত্যাগী আওয়ামীলীগের নেতা কর্মী রয়েছে তাদের নিয়ে বন্দর থানা কমিটি করা হলো আওয়ামীলীগ আরো শক্তিশালী হবে এবং নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের দলের কমিটিতে নিয়ে আসলে দল আরো চাঙ্গা হবে।  

নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এড: খোকন শাহ বলেন, আমাদের সিদ্ধিরগঞ্জের ১০ ওয়ার্ডের কমিটি গঠন করেই আমরা বন্দর থানা আওয়ামীলীগের কমিটি গঠন করে দিবো।