নারায়ণগঞ্জ টাইমস | Narayanganj Times

রোববার,

১১ মে ২০২৫

সোনারগাঁয়ে অটো চুরির অপবাদ দিয়ে নির্যাতন, ৪ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ  

নারায়ণগঞ্জ টাইমস

প্রকাশিত:২২:০১, ১০ মে ২০২৫

সোনারগাঁয়ে অটো চুরির অপবাদ দিয়ে নির্যাতন, ৪ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ  

সোনারগাঁও সাদিপুর ইউপি নানাখী পূর্ব পাড়া গুলনগর এলাকায় অটো চুরির অপবাদ দিয়ে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে রুমে বন্দী করে হাত পা বেঁধে মেরে আহত করে ৪ লাখ টাকা দাবি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এমনকি হাত পা ও মুখ বেধে জোর পূর্বক  খালী ষ্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করে নিয়েছে এলাকার কিছু স্বার্থন্নেষী কুচক্রী মহল। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী মোঃ সজিব মিয়ার স্ত্রী সুমাইয়া আক্তার বাদী হয়ে ৫ জনকে বিবাদী ও ৮/১০ জনকে অজ্ঞাত করে স্থানীয় থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছে।


থানা অভিযোগ সূত্রমতে, বাদী সুমাইয়ার স্বামী সবুজ মিয়া গাড়ি মেরামতের কাজ করে। তাই গত ০৩-০৫-২৫ইং তারিখ সন্ধার দিকে সজিব মিয়ার দুই বন্ধু তার বাড়িতে বেড়াতে আসে। নিজের বাসায় থাকার জায়গা না থাকায় পাশের বাড়ির বন্ধু নাসিরের বাড়িতে রাত্রী যাপন করে।

একই তারিখে দিবাগত রাতে গুলনগর এলাকার হাজ্বী  মোসলেম মিয়ার গ্যারেজ হইতে কয়েকটি অটো চুরি হয়।

পরদিন ৪ মে সকাল আনুমানিক ১০ঘটিকার সময় বিবাদী(১) হাজ্বী মোসলেম উদ্দিন(৬০) পিতা অজ্ঞাত(২) মোঃ তাওলাদ হোসেন (৪০), (৩) রুবেল (৩৮) উভয় পিতা মোসলেম উদ্দিন (৪) বিল্লাল হোসেন (৪২), পিতা- বেনু মিয়া(৫) মোঃ ফারুক(৩৮),পিতা অজ্ঞাত সহ আরো অজ্ঞাতনামা ৮/১০  জন।

উভয় ঠিকানা গুলনগর, সাদিপুর, সোনারগাঁ, নারায়নগঞ্জ।বিবাদীগন পূর্বপরিকল্পিতভাবে বাদীর স্বামী মোঃ সজিব ও নাছিরকে রাস্তা হইতে ধরে নিয়ে ১নং বিবাদী মোসলেম উদ্দিনের বসত ঘরের রুমে নিয়ে আটক করে।

এরপর বিবাদীগন উপরোক্ত অটো চুরির অপবাদ দিয়ে হাত-পা ও চোঁখ বেধে স্টিলের পাইপ ও হকিস্টিক দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত আহত করে অটো চুরি করেছে বলে স্বীকার করতে বলে। তাতে সজিবের হাতে, পায়ে, পিঠে ও বুকসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে নিলাফোলা ও জখম হয়।

এমনকি বিবাদীরা নাছিরের পিতা হাজ্বী আব্দুল রহিমকে ডেকে নিয়ে কয়েকটি অলিখিত নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে তিন লক্ষ্য পঞ্চাশ হাজার (৩৫০,০০০/) ও  আলাদা অন্য স্ট্যাম্পে পঞ্চাশ হাজার (৫০০০০/) টাকা ক্ষতিপূরণ বাবদ  বিবাদীদের দিবে বলে স্বাক্ষর রাখে।

একই তারিখ বিকেল অনুমান ৩ ঘটিকার সময় ছাড়িয়া দেয়। পরে এলাকাবাসীর সহায়তায় সজলকে গুরতর / মুমূর্ষু  অবস্থায়  উদ্ধার করে ঢাকা সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে ভর্তি করে। সজল মিয়া বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে।

এ বিষয়ে বিবাদী মোসলেম উদ্দিনের সাথে কথা বলতে চাইলে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। তবে সজলের স্ত্রী সুমাইয়ার দাবী সঠিক তদন্তের মাধ্যমে যেন বিবাদীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হয়।