
ফতুল্লার এনায়েতনগর ইউনিয়নের ধমগঞ্জ গ্রামের মরহুম মো. মোতালেবের ছেলে মো. শাহাবুদ্দিন পেশায় পরিচ্ছন্নকর্মী। ক্লিনার হিসাবে নারায়ণগঞ্জ সদরে কাজ করে কোন মতে জীবিকা নির্বাহ করেন।
তার তিন কন্যা এবং একজন পুত্র। সন্তানদের মধ্যে কনিষ্ঠ পুত্র। স্বল্প আয়ের এই শাহাবুদ্দিনের বড় মেয়ে ১৯ বছর বয়সী মোসাঃ খুকির বিয়ে আগামী ২৯ আগস্ট।
বিয়ের অনুষ্ঠানে বরপক্ষের ৫০ জন অতিথিকে আপ্যায়ন করতে হবে। কিন্তু এতো টাকা জোগাড় করা এই পরিচ্ছন্নতা কর্মীর পক্ষে সম্ভব নয়। উপায় না দেখে লোকমুখে সারাদেশে মানবিক ডিসি হিসেবে পরিচিত নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক জাহিদুল ইসলাম মিয়ার কাছে আজ আবেদন নিয়ে দেখা করেন।
জেলা প্রশাসক তার আবেদন যাচাই-বাছাই শেষে আজ শাহাবুদ্দিনকে তার কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে আর্থিক সহায়তার চেক হস্তান্তর করেন। জেলা প্রশাসকের আর্থিক সহায়তার চেক পাওয়ার পরে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে গিয়ে শাহাবুদ্দিন বলেন, আমি একজন সুইপার মানুষ।
কিন্তু ডিসি স্যারের রুমে ঢোকার পরে আমি উনাকে সালাম দেয়ার আগেই উনিই আমাকে সালাম দিয়ে কুশলাদি জিজ্ঞেস করেছেন। উনার ব্যবহারে আমার অন্তরটা ভরে গেছে।