সিদ্ধিরগঞ্জে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে জোরপূর্বকভাবে বাড়ি ঘর ভাংচুর, স্বর্নালংকার ও নগদ অর্থ লুটের ঘটনা ঘটেছে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শিউলী বাদী হয়ে ১১ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও চার জনকে আসামি কওে বৃহস্পতিবার সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় মামলাটি দায়ের করেন। এর আগে গত বুধবার মিজমিজি দক্ষিণ পাড়া এলাকায় এ ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনাটি ঘটে বলে মামলা সূত্রে জানা যায়।
মামলায় আসামিরা হলেন, সিদ্ধিরগঞ্জের নাসিক ২ নং ওয়ার্ডের মিজমিজি দক্ষিণ পাড়া এলাকার মৃত একে এম নূরুল হকের ছেলে হাবিবুর রহমান (৫৫), মৃত ইউনুসের ছেলে সাইফুল ইসলাম (২৬), একে এম নূরুল হকের ছেলে মতিউর রহমান (৪০), আনিস (৩৮), মৃত ইউনুসের ছেলে আলী হোসেন (৩০), হেলা উদ্দিনের ছেলে ফাহিম (২৪), হাশেম মিয়া (৪৫), মৃত মোহর আলীর ছেলে আলমাছ (৬০), আলমাছের ছেলে সেকেন্দার আলী (৩২), হাসিব (২৩) ও সজিব হোসেন (২৪)।
ভুক্তভোগীর অভিযোগ ও এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত বুধবার সকালে সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি দক্ষিণ পাড়া মালেক মেম্বারের পুল এলাকায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে আসামিরা বেআইনিভাবে জনতাবদ্ধ হয়ে দেশীয় অস্ত্র, ধারালো ছোড়া, চাপাতি, রামদা ও লোহার পাইপ নিয়ে ভুক্তভোগীদের বাড়িতে অনাধিকারভাবে প্রবেশ করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন।
পরে গালিগালাজ করতে নিষেধ করলে আসামিরা বাড়িতে প্রবেশ করে ভুক্তভোগীর ঘর, ঘরের আসবাবপত্র ভাংচুর করে দেড় ভরি ওজনের স্বর্ণালংকার ও গরু বিক্রির নগদ দুই লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায় আসামিরা।
ভাংচুরের সময় আসামিদের বাধা দিলে আসামিরা ভুক্তভোগীসহ তার পরিবারের সদস্যদের উপর হামলা করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে। পরবর্তীতে ভুক্তভোগীদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে আসামিরা খুন করে লাশ ঘুম করার হুমকি দেন বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
তবে ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগ হামলায় অংশ নেওয়া আসামিরা সকলেই বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত। মামলার দুই নম্বর আসামি সাইফুল ইসলাম সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইকবাল হোসেনের খালাতো ভাই।
এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহিনুর আলম জানান, ভাংচুরের ঘটনায় মামলা নেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। আসামিদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান ওসি।


































