
বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির যুগ্ম মহাসচিব এড. আব্দুস সালাম আজাদ বলেছেন, শেখ হাসিনা বার বার জাতির সাথে বেইমানি করেছে। শেখ হাসিনা এরশাদের সাথে আপোষ করেছিল প্রতিবেশী দেশসহ বিভিন্ন সাথে আপোষ করেছেন।
দেশে গণতন্ত্র বলে কিছুই ছিল না তখন। তার পিতা শেখ মুজিব যেভাবে দেশের গণতন্ত্রকে হত্যা করেছিল। পরবর্তীতে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান সিপাহী বিপ্লবের মাধ্যমে এদেশের দায়িত্ব নিয়ে গণতন্ত্র ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতাকে ফিরিয়ে দিয়েছিল। তিনি ১৯৭৮সালে রাষ্ট্রপতির নির্বাচনের ব্যবস্থা করেছিলেন।
জিয়াউর রহমানের পরিবার বারবার এদেশের মানুষের গণতন্ত্রের পক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন । আর শেখ মুজিবের পরিবার বারবার মানুষের দেশের মানুষকে, গুম, খুন ও হত্যা করেছে। যেভাবে শেখ মুজিবর ক্ষমতায় থাকতে চেয়েছিল ঠিক একইভাবে তার মেয়ে শেখ হাসিনা মানুষকে হত্যা, গুম ও খুন করে ক্ষমতায় থাকতে চেয়েছিলেন।
জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান, শোক ও বিজয়ের বর্ষপূর্তি পালন উপলক্ষে বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ডক্টরস্ এসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ (ড্যাব) নারায়ণগঞ্জ আয়োজিত স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথাগুলো বলেন। বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) সকাল এগারোটায় খানপুর ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
তিনি বলেন, খুনি শেখ হাসিনা পাঁচ হাজারের অধিক বিএনপি নেতাকর্মীদেরকে হত্যা করেছে। সর্বশেষ জুলাই আগস্টের আন্দোলনে দুহাজারেরও বেশি ছাত্র-জনতাকে পুলিশ ও প্রশাসনের লোক দিয়ে প্রকাশ্য দিবালোকে পাখির মতন গুলি করে খুন করে ক্ষমতায় টিকে থাকতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সর্বশেষ ছাত্ররা তাদের আন্দোলন একপ্রকার প্রত্যাহার করে নিয়েছিলেন কিন্তু তারেক রহমান বলেছেন যে না এ আন্দোলন সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হবে।
আপনি বলেছিলেন আমরা কোটা আন্দোলন না দেশের গণতন্ত্র পূর্ণ উদ্যার যতদিন না পর্যন্ত শেষ হবে আমরা ফ্যাসিবাদী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে রাজপথে আন্দোলন সংগ্রাম চালিয়ে যাব। শেখ হাসিনাকে পদত্যাগের মাধ্যমে আমরা এদেশের গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনব। সর্বশেষ তারেক রহমানের নেতৃত্বে ৫ আগস্ট আন্দোলনের মাধ্যমে খুনি শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, আপনারা জানেন বিগত ২০১৪ সালের ১৮ সালের ও সর্বশেষ ২৪ সালের নির্বাচন কি হয়েছিল। আমরা চাই একটি সুষ্ঠু অবাধ ও গণতন্ত্রমূলক নির্বাচন। জুলাই বিপ্লবের পরে অন্তবর্তী কালীন সরকার গঠন হয়েছে। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন এই সরকারকে আমরা সব ধরনের সহযোগিতা করব।
সামনের নির্বাচনকে নিয়ে অনেক রকমের ষড়যন্ত্র হচ্ছে। সেই নির্বাচনে অনেক সংকট দলেই পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের কথা বলে। যারা বিগত সময়ে ফ্যাসিবাদের সঙ্গে নির্বাচন অংশগ্রহণ করেছিল তারাই এখন এইসব কথা বলে। সুতরাং দলীয় নেতাকর্মীদেরকে সজাগ থাকতে হবে যারা দলের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করবে তাদেরকে আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে রুখে দিব।
ডক্টরস্ এসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ (ড্যাব) নারায়ণগঞ্জ শাখার কমিটির আহ্বায়ক ডাঃ জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে ও সদস্য ডাঃ জহিরুল ইসলামের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় জাতীয় নির্বাহী কমিটির যুগ্ম মহাসচিব এড. আব্দুস সালাম আজাদ।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান, সদস্য সচিব এড. সাখাওয়াত হোসেন খান, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মাশুকুল ইসলাম রাজিব, মহানগর বিএনপির সিনিয়র সদস্য ডাঃ মজিবুর রহমান, মাসুদ রানা, খানপুর ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ আবুল বাশার, ডক্টরস্ এসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ (ড্যাব) নারায়ণগঞ্জ শাখার কমিটির সদস্য ডাঃ আমির উল মুলক, ডাঃ কাসেদুর রহমান, ডাঃ বয়েজ উদ্দিন, ডাঃ পংকজ নাহা, ডাঃ আবু সালেহ প্রমুখ।