আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলছেন, ওসমান হাদী ইনসাফ ভিত্তিক রাষ্ট্র গঠন করতে চেয়েছিল। গনঅভ্যুত্থানের পর অনেকই অনেকভাবে সুবিধা নিয়েছে।
কিন্তু ওসমান হাদী সৎ ও নির্ভিক থেকে ইনসাফ ভিত্তিক রাষ্ট্র গঠনের লক্ষ্যে কাজ করে গিয়েছিল। যারা দেশের জন্য কাজ করে তারা সহজেই মানুষের হৃদয়ে জায়গা করে নিতে পারে। ওসমান হাদী তারই উৎকৃষ্ট উদাহরণ। হাদীর জানাযায় এত মানুষের সমাগম বাংলাদেশের ইতিহাসে বিরল।
রবিবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ উপজেলার কাঞ্চনে স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের ৭ম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা শহীদ হাদীর জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়ার আহবান জানিয়ে বলেন, আল্লাহ হাদীকে বেহেশতের সর্বোচ্চ জায়গায় স্থান দিবে। হাদী এই নস্যাৎ পৃথিবীর চেয়ে ভালো জায়গায় অবস্থা করছে বলে বিশ্বাস করি।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস এম এ ফয়েজ, মঞ্জুরী কমিশনের সদস্য, প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, স্টেট ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের প্রেসিডেন্ট ডাঃ এ এম শামীম, স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মো. আক্তার হোসেন খাঁন প্রমুখ।
সমাবর্তন অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০টি বিভাগের ৬৭২জনকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি প্রদান করা হয়। একই সঙ্গে ৩জন শিক্ষার্থীকে চ্যান্সেলর‘স গোল্ড মেডেল, ৪জন শিক্ষার্থীকে ভাইস- চ্যান্সেলর সিলভার মেডেল এবং ২০জন শিক্ষার্থীকে ডিনস অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়।
দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে হামলার প্রসঙ্গে ড. আসিফ নজরুল বলেন, হামলাকারীর চেয়ে দেশে সৃষ্টিশীল মানুষের সংখ্যা বেশি। দেশে আত্ম ত্যাগকারী তরুনের সংখ্যা অনেক বেশি।
বিগত ১৭ বছর দেশের আইন ব্যবস্থা, শিক্ষা ব্যবস্থা সহ অর্থনীতিকে নানা ভাবে ভঙ্গুর করে দিয়েছিল বিগত সরকার। ফলে ২৪ এর ছাত্রজনতার গণঅভ্যুস্থানের মধ্য দিয়ে এ দেশের মানুষ একটি শোষক গোষ্ঠি থেকে মুক্তি পেয়েছে।


































