নারায়ণগঞ্জ টাইমস | Narayanganj Times

বৃহস্পতিবার,

০১ জানুয়ারি ২০২৬

রাষ্ট্রীয় শোক দিবসে নারায়ণগঞ্জ জেলা ক্রীড়া সংস্থার ধৃষ্টতা!

নারায়ণগঞ্জ টাইমস

প্রকাশিত:২১:৪০, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫

রাষ্ট্রীয় শোক দিবসে নারায়ণগঞ্জ জেলা ক্রীড়া সংস্থার ধৃষ্টতা!

‎সারা দেশ যেখানে শোকাহত। ৩দিনের রাষ্ট্রীয় শোক পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। বিশ্বের নানা দেশে যখন ফ্যাসিষ্ট হাসিনার নির্মম নির্যাতনের শিকার, আপোষহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার শোকে মুহ্যমান সেখানে নারায়ণগঞ্জ জেলা ক্রীড়া সংস্থার এডহক কমিটির চরম অন্যায় কাজের প্রতিফলন ঘটেছে ।

‎‎সারা বাংলাদেশের অফিস-আদালত, মার্কেট, দোকান-পাটসহ ব্যবসা-বাণিজ্যের কেন্দ্রগুলি ছিল বন্ধ। সেখানে তারা জেলার ক্রিকেট মাঠে উৎসবের আমেজ নিয়ে ক্রিকেট খেলায় মেতে উঠেছে।

‎‎সূত্রমতে, ফ্যাসিষ্ট হাসিনার বিগত সময়ে এই জেলা ক্রীড়া সংস্থায় সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্বপালন করা শামীম ওসমানের শ্যালক তানভীর আহমেদ টিটু হাসিনা পরিবারের সকলের জন্মদিনে কেককাটা থেকে শুরু করে মৃত্যুদিনের অনুষ্ঠান ঘটা করে পালন করেছে।

‎‎এদিকে, বেগম খালেদা জিয়ার ইন্তেকালে সারা দেশে ৩১ ডিসেম্বর রাষ্ট্রীয় শোক দিবস হিসেবে জাতীয় পতাকা অর্ধনির্মিত রাখা ও শোক পতাকা উত্তোলনের কথা থাকলেও এডহক কমিটির কেউই এ বিষয়ে দায়িত্বপালন করেনি।

জেলা ক্রীড়া সংস্থার অফিসে গিয়ে এডহক কমিটির কাউকে এমনকি অফিসের কেরানী আঃ করিমকেও পাওয়া যায়নি। তাকে ফোন দিলেও তিনি ফোন ধরেননি।

‎‎খোঁজ নিয়ে জানা গেছে এডহক কমিটির সবাই আওয়ামী ঘরানার লোকদ্বারা গঠিত। এর মধ্যে শামীম ওসমানের শ্যালক তানভীর আহমেদ টিটুর বন্ধু শাহরিয়ার হোসেন বিদ্যুৎ ও জাকারিয়া ইমতিয়াজ ওরফে জাকু সেখানে খেলার নামে আওয়ামী লোকদের নানা কায়দায় পূর্নবাসনের কর্মসূচি পালন করে চলেছে।

এডহক কমিটির সদস্য সম্রাট হোসেন এমিলি ও গোলাম গাউছ এর পুরো পরিবারই আওয়ামী সমর্থনপুষ্ট।

‎‎জেলা ক্রীড়া সংস্থার এডহক কমিটির আহ্বায়ক হচ্ছেন জেলা প্রশাসক। জেলা ক্রীড়া সংস্থার যাবতীয় বিষয় দেখাশুনা করছেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এবং সদস্য সচিব হচ্ছেন জেলার ক্রীড়া অফিসার। জেলা ক্রীড়া সংস্থার এডহক কমিটি কর্তৃক রাষ্ট্রীয় শোকের দিনের নিয়ম লঙ্ঘন করে এরকম ধৃষ্টতা প্রদর্শনে ক্ষুদ্ধ আপামর ক্রীড়াপ্রেমী।

তাদের প্রশ্ন ঘুরে ফিরে ফ্যাসিষ্ট হাসিনার লোকদের দিয়ে কারা গঠন করলো জেলা ক্রীড়া সংস্থার এডহক কমিটি। জেলা প্রশাসনের যেকোন সভায় খুব গুরুত্বের সাথে নির্দেশনা দেওয়া হয় যে, ফ্যাসিষ্ট হাসিনার কোন লোকজন যাতে কোনভাবেই ক্রীড়া, সংস্কৃতি, ব্যবসা-বাণিজ্যসহ বিভিন্ন কমিটিতে অংশ নেবার সুযোগ না পায়।

কিন্তু দিন শেষে দেখা যাচ্ছে ঘাপটি মেরে থাকা ফ্যাসিষ্ট হাসিনার লোকজনই কোন না কোনভাবে ঐসব সংগঠনে অনুপ্রবেশের সুযোগ নিয়ে বিশৃংখল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে চলেছে। সংশ্লিষ্ট সংস্থার উচ্চপদে আসীন ব্যক্তিগণ এ বিষয়ে এখনই পদক্ষেপ না নিলে যেকোন সময়ে ঘটে যেতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।
 

সম্পর্কিত বিষয়: