নারায়ণগঞ্জ টাইমস | Narayanganj Times

শনিবার,

২৭ এপ্রিল ২০২৪

নারায়ণগঞ্জে ৩০ জুন পর্যন্ত কঠোর লক ডাউন

নারায়ণগঞ্জ টাইমস:

প্রকাশিত:০২:৫৭, ২২ জুন ২০২১

নারায়ণগঞ্জে ৩০ জুন পর্যন্ত কঠোর লক ডাউন

করোনাভাইরাসের প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ায়  মঙ্গলবার (২২ জুন) থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জসহ ৭ জেলায় লকডাউন ঘোষণা করেছে সরকার।

সোমবার (২১ জুন) বিকেলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের জরুরি ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, মঙ্গলবার থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত মানিকগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, রাজবাড়ী, মাদারীপুর ও গোপালগঞ্জে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে।

আনোয়ারুল ইসলাম জানান, লকডাউন চলাকালে সার্বিক কার্যাবলি চলাচল (জনসাধারণের চলাচলসহ) সকাল ৬টা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। এ সময় শুধু আইন-শৃঙ্খলা এবং জরুরি পরিষেবা, যেমন-কৃষি উপকরণ (সার, বীজ, কীটনাশক, কৃষি যন্ত্রপাতি ইত্যাদি), খাদ্যশস্য ও খাদ্যদ্রব্য পরিবহন, ত্রাণ বিতরণ, স্বাস্থ্যসেবা, কোভিড-১৯ টিকা প্রদান, বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস/জ্বালানি, ফায়ার সার্ভিস, বন্দরসমূহের (নদীবন্দর) কার্যক্রম, টেলিফোন ও ইন্টারনেট (সরকারি-বেসরকারি), গণমাধ্যম (প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া), বেসরকারি নিরাপত্তা ব্যবস্থা, ডাকসেবাসহ অন্যান্য জরুরি ও অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ও সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অফিসসমূহ, তাদের কর্মচারী ও যানবাহন এবং পণ্যবাহী ট্রাক/লরি এ নিষেধাজ্ঞার আওতাবহির্ভূত থাকবে।

এই সাত জেলায় কী কী বন্ধ থাকবে- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সব বন্ধ থাকবে। মানুষও যাতায়াত করতে পারবে না। শুধু মালবাহী ট্রাক এবং অ্যাম্বুলেন্স ছাড়া কিছু চলবে না। জেলাগুলো ব্লকড থাকবে, কেউ ঢুকতে পারবে না।’

উল্লেখ্য নারায়ণগঞ্জে গত বছরের ৮ মার্চ প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। ৩০ মার্চ প্রথম নারায়ণগঞ্জের বন্দরের রসুলবাগে করোনার উপসর্গ নিয়ে পুতুল নামে এক নারী মারা যায়। ৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জকে করোনার হটস্পট ঘোষণা করা হয়। এরপর ৮ এপ্রিল সকাল থেকে পুরো নারায়ণগঞ্জ জেলাকে লকডাউন করেন আইএসপিআর। পরে নারায়ণগঞ্জের কপাল থেকে হটস্পটের তকমা তুলে নেয়া হয়েছে। সম্প্রতিক সময়ে দেশের উত্তর ও দক্ষিনাঞ্চলে করোনা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় নতুন করে নারায়ণগঞ্জ জেলাকে লকডাউনের আওতায় আনা হয়েছে।

এদিকে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্যমতে, ১৯ জুন পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জে করোনায় মৃত্যু সংখ্যা ২২০ জন। আক্রান্ত হয়েছে ১৩ হাজার ৫৬১ জন।

সম্পর্কিত বিষয়: