
ফতুল্লা থানা বিএনপির বহিস্কৃত সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরীকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। বৃহস্পতিবার (১৫ মে) সন্ধ্যায় চাঁদাবাজির মামলায় সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তাকে হাজির করে পুলিশ।
এসময় তার আইনজীবী জামিন প্রার্থনা করলে আদালত তা না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এরআগে সকালে থাইল্যান্ড যাওয়ার পথে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের ইমিগ্রেশন পুলিশ তাকে আটক করে।
পরে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের একটি টিম রিয়াদ চৌধুরীকে তাদের হেফাজতে নিয়ে আসে। এবং ফতুল্লা মডেল থানার এস আই শামীম বাদী হয়ে তার বিরুদ্ধে একটি চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করে। ওই মামলায় তাকে আদালতে পাঠায় পুলিশ।
এদিকে, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে ফতুল্লা থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরীকে দলের প্রাথমিক সদস্য পদসহ সকল পদ থেকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি। বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয় দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ এবং দলের নীতি, আদর্শ ও সংহতি পরিপন্থী অনৈতিক কার্যকলাপের অভিযোগে তাকে বহিস্কার করা হয়েছে।
ওদিকে ফতুল্লার আজাদ ডাইংয়ের মালিক আজাদকে হুমকি দিয়ে তার প্রতিষ্ঠান পুড়িয়ে দেয়ার একটি ফোনালাপের অডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। এই ঘটনায় আজাদ ডাইংয়ের মালিককে পুলিশ মামলা করতে বললে তিনি রাজি হননি। তিনি বলেন, বিষয়টি পারিবারিক। এটা সমাধান হয়ে গেছে। এডিটিং করে অডিওটি করা হয়েছে। রিয়াদ চৌধুরীর বিরুদ্ধে তার কোন অভিযোগ নাই।
এক পর্যায়ে পুলিশ বাদী হয়ে ওই ঘটনায় রিয়াদ চৌধুরীর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করে।
নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার (এসপি) প্রত্যুষ কুমার মজুমদার বলেন, থাইল্যান্ডে পালিয়ে যাওয়ার সময় রিয়াদ চৌধুরীকে বিমানবন্দর থেকে আটক করা হয়েছে। চাঁদার দাবিতে এক পোশাক কারখানার ব্যবসায়ীকে মুঠোফোনে কল করে কারখানা পুড়িয়ে দেওয়ার হুমকির কথোপকথনের একটি অডিও প্রকাশ পেয়েছে তাঁর। ওই কারণে তাঁকে আটক করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা হয়েছে।