নারায়ণগঞ্জ টাইমস | Narayanganj Times

শুক্রবার,

২৬ এপ্রিল ২০২৪

এনামুল হক প্রিন্সের রোমান্টিক গল্প

স্বপ্ন ভঙ্গের বেদনা

এনামুল হক প্রিন্স

প্রকাশিত:০০:২২, ২৩ জানুয়ারি ২০২২

স্বপ্ন ভঙ্গের বেদনা

জীবনে কতটা সময় তোমার আপন ছিলাম জানিনা। তোমায় কিছুদিনের জন্য আপন করে পেয়েছি এটাই বা কম কিসে। স্বপ্নের পরীর ভালোবাসা অনেক কিছু। অনেক মনে পড়ে রিকশায় বসে তোমার কাধেঁ মাথা রেখে শহর ঘোরার কথা। তোমার হাতের খাওয়ার কথা, তোমাকে অনেক ভালোবাসি। তোমাকে নিজের করে পাওয়ার বড় আশা। পেলে তোমায় লুকিয়ে রাখব আমার মনের বক্সে। শুধু চীরতরে তুমি আমার হয়ে যাও। তৃষা ও তমাল দুজন দুজনার ছোট গল্পের মতো তাদের এই জীবন রং তুলির আচঁড় পড়েছে। প্রিয় সব মানুষের নিবিড় রং তুলির আচঁড়ে আমার মতো ভুলোমনা মানুষ নিজের অজান্তেই হয়ে উঠেছে অনিন্দ্য সুন্দর এক ছবি।

কিন্তু আমি জানি আমি বরাবরের মতোই উদাসীন। একহাজার দিন কোন খবরই রাখলো না তষা। কিন্তু কষ্টের তখন শুরু মাত্র। তার পর ও মনে মনে ভাবি যাই হোক তৃষা ভালো থেকো তুমি, সুখে থেকো। আমি নিরিবিলি জায়গায় গিয়ে নিজেকে নিজেই আঘাত করলাম। মাথা দিয়ে রক্ত ঝড়ল ব্যান্ডেজ আমার মাথায় বাড়ীতে জানতে চেয়েছে কি হয়ে মাথায় আমি রাস্তায় দুর্ঘটনায় ভীষণ চুট পেয়েছি। নিজের রক্ত ঝড়িয়ে তোমার কষ্টের ভাগ নিলাম। এক দিন থেকে এক হাজার দিন না দেখার বেদনায় বিহর বাড়তে থাকলো। নিজেকে খুব ভারী লাগল। খাওয়া দাওয়া চলাফেরা ঘুমে অনিময় চলে এলো। এলোমেলো হওয়ার অসুখ যেন ঘাড়ে না বসে মনে। খুব সাবধানে থাকি। কেমন আছ? ভীষণ ভালোবাসি। তোমাকে দেখার পর নীল সমুদ্রের সৌন্দর্য ও আমাকে ধরে রাখতে পারেনি।

তুমি কি জানো কতটা স্মরন করি তোমায়। আমার ইচ্ছে হয় মনের আনন্দে দুজন দুজনার হাত ধরে ঘুরি। তোমার জন্য রয়েছে আমার অফুরন মায়ারী মায়া। তারপর দুজনের মধ্যে গড়ে উঠল বন্ধুত্ব। তুমি আমার থেকে অনেক দূরে অবস্থান করলেও সুখে-দুঃখে পাশে ছিলে। একা হাঁটতে সাহস দিয়েছিলে। তোমার বুকের চাপা কষ্টগুলো আমার কাছে প্রকাশ করতে আমিও করতাম তোমার সঙ্গে কিন্তু কথায় ছলে দুষ্টিমিতে অক্টোবরে খেতে গিয়ে ছিলাম দুজনে। বর্ষাকাল নদীর পানিতে টইটুম্বর মেঘাচ্ছন্ন আকাশে বৃষ্টি ঝড়ছে প্রবল বেগে এরই মধ্যে তোমার ফোনে আমি বলেই ফেললাম চলো আজ এই তমুল বৃষ্টিতে মনের সাধ মিটিয়ে ভিজি। দূরের ওই মেঘলা আকাশে তোমার হাতে হাত রেখে ইচ্ছে মতো ভাসি। চলো শরতের এই আনন্দধারায় মেঘ-বৃষ্টির লুকোচুরিতে কাশবনে হারাই। তুমুল বৃষ্টিতে ভিজবো আমরা দুজন। তুমুল করা সেই অপূর্ব দৃশ্য ভেবে এখনো আমি স্বপ্ন বিভোর।

আমি এখনো চাঁদনী রাতের জ্যোৎস্না দেখি। বর্ষয় বৃষ্টিতে ভিজি। এখনো গ্রামের মেঠো পথে হাঁটি, শুধু পাশে নেই তুমি। আজও বিলের পানি থেকে শাপলা তুলি, কিন্তু তোমার মতো আর কারও হাতে সেই ফুল দিতে পারিনি। ভালোবাসার মাঝি হয়ে বইঠা দিয়ে বহুদিন ডিঙ্গি নৌকা চালাইনি। কারন ছোট নদীটাও 

শুকিয়ে গেছে। তুমি যেমন আমাকে পড় করেছে, ঠিক তেমনি সবকিছুই যেন আমাকে ছেড়ে চলে যেতে চাচ্ছে। আমি চাঁদকে বলেছি আলো দিয়ো আমার প্রিয়ার ঘরে, সে যেন জাগে না রাত একলা আধাঁরে। তৃষা তুমিও কি আমার জন্য রাত জাগো। সারাদিনের শত ব্যস্ততার মধ্যে হয়তো আমাকে নিয়ে ভাবা হয়ে ওঠেনা তোমার। তবু আমি জানি, আমার জন্য তোমার ভালোবাসা কমেনি।

তোমার সঙ্গে এক মিনিট কথা বলার জন্য আমার অপেক্ষায় যে যন্ত্রনা, তা তুমি কি বুজতে পারো না। আমার জীবনের সবচেয়ে সুন্দর মুহুর্তগুলো ছিল তোমার সঙ্গে কাটানো সেই সময়। আর সেই স্মৃতিগুলোকে বুকের ভেতরে পুষে, যত্ন করেই দিন কাটে আমার। যত দূরেই থাকোনা কেন, শুধু চাই ভালো থাকো। আর ভালোবেসে যেয়ো আমাকে। যতবার মনকে বুঝাতে চেয়েছি পারেনি তোমাকে বুঝাইতেই। এটা ভালোবাসা কিনা, আমি জানি না। তৃষার কারনেই তমালের স্বপ্ন ভঙ্গের বেদনা। আমি বসে আছি নিস্তব্ধ বাকরুদ্ধ হয়ে, চোখ দিয়ে অনবরত ঝড়ছে অশ্রু, রাগ আবেগ আামাকে নির্বাক করে দেয়।

আমি তোমার মতো গুছিয়ে কথা বলতে পারি না। স্বপ্ন ভঙ্গের বেদনায় তমাল এখন শূন্য দৃষ্টি নিয়ে তাকিয়ে থাকে আকাশের দিকে। প্রচন্ড মানসিক আঘাত পাওয়ায় স্মৃতিশক্তি অনেকটাই এখন ক্ষীণ। সেদিন রাতের আধখানা চাঁদটা একটুও আলো দেয়নি, তারাগুলো লুকিয়ে ছিল মেঘের আড়ালে। জোনাকিরা আলো দেয়নি বাশেঁর বনে। তুমি আসবে বলে আমি তো আজও তোমার অপেক্ষায় দাড়িয়ে আছি।

সম্পর্কিত বিষয়: