
বন্দরে মুরাদপুরে পূর্ব শত্রুতার দ্বন্দ্বে মনিরুজ্জামান মনুকে গুলি করে ও পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় আসামী মিঠু ও টিটুগংরা কারাগার থেকে জামিনে বের হয়ে বাদী সাবিনা বেগম ও নিহতের স্বজনদের হত্যার হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গত রোববার (১০ আগষ্ট) নিহত মনিরুজ্জামান মনুর ভাগ্নি ময়না বেগম বাদী হয়ে জীবনের নিরাপত্তা চেয় বন্দর থানায় উল্লেখিত আসামীদের বিরোদ্ধে একটি জিডি এন্টি করেন। যার জিডি নং ৫৩৪। তাং ১০/০৮/২০২৫ইং।
ময়না বেগম জিডিতে উল্লেখ করেন,গত ২০২৪ সালের ৭জুন আমার মামা মনিরুজ্জামান ওরফে মনুকে নির্মমভাবে হত্যার ঘটনায় আমার মামী সাবিনা বেগম বাদী হয়ে মামলা করেন। যার মামলা নং ১৩(৬)২৪ইং। উক্ত মামলার বিবাদী শীর্ষ সন্ত্রাসী টিটু, মিঠু, ফারুক, মনির, নুরুল, সামসুলসহ তাদের সহযোগীরা জামিনে বের হয়ে আমাদের পরিবারেরর উপর চড়াও হয়।
আমাদের মামলা তুলে নিতে বিভিন্নভাবে আদালত চত্বরে হুমকিসহ মারমূখী আচরন করছে। এমনকি আমাদের প্রান নাশের হুমকি প্রদান করছে। তাদের এমন কর্মকান্ডে আমরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছি।
উল্লেখ্য,সোনারগাঁ কুতুবপুর এলাকায় মামির জানাজা শেষে শুক্রবার সকাল ১১ টার দিকে মনিরুজ্জামান মনু মদনপুর মুরাদপুর নিজ বাড়িতে অবস্থান করছিল। এসময় একই এলাকার নুরা মিয়ার তিন ছেলে মিঠু, টিটু ও মনিরের নেতৃত্বে ১০/১২ জনের একটি সন্ত্রাসী বাহিনী ঘর থেকে বের করে প্রথমে মাথায় গুলি ও কুপিয়ে গুরুতর আহত করে তাকে। পরে পরিবারের লোকজন তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করলে দুপুর ২ টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় সে।
তথ্যমতে, নিহত মনু মদনপুর মুরাদপুর এলাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী। তার পরিবারের মধ্যে আবুল পুলিশের ক্রসফায়ারে নিহত হন। এলাকার আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে নিহত মনুর ভাই নুরুজ্জামান নুরা ও বাবুল আক্তার, বড় বোন নিলুফা অপর সন্ত্রাসী গ্রুপের হাতে খুন হয়েছেন।
তারপর থেকে মনু কাপাসিয়া বিয়ে বিয়ে করে শ্বশুর বাড়িতে বসবাস করত। বৃহস্পতিবার মনু পার্শ্ববর্তী সোনারগাঁ উপজেলার কাঁচপুরের কুতুবপুর এলাকায় তার মামী মারা যাওয়ার খবর পেয়ে ওই বাড়িতে যায়।
শুক্রবার সকালে মনু নিজ বাড়ি মদনপুরস্থ মুরাদপুর পৌঁছালে প্রতিপক্ষ সন্ত্রাসীরা তাকে গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যা করে।