বন্দরে শয়ন কক্ষে পেট্রোল ঢেলে আগ্নিসংযোগ করে স্ত্রীকে পুড়িয়ে হত্যার চেষ্টার ঘটনায় পাষান্ড স্বামী নয়ন (২৮)কে আটক করে পুলিশে সোর্পদ করেছে স্থানীয় জনতা ।
আটককৃত পাষান্ড স্বামী নয়ন আড়াইহাজার থানার বিষ্নুপুরা এলাকার শহিদুল ইসলামের ছেলে। এ ব্যাপারে ভূক্তভোগী গৃহবধূর পিতা আমিনুল হক বাদী হয়ে আটককৃত পাষান্ড স্বামী বিরুদ্ধে বন্দর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে এ মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং- ১৭(১২)২৫।
পুলিশ ধৃতকে বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) দুপুরে উল্লেখিত মামলায় আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। এর আগে গত মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) রাতে বন্দর উপজেলার মদনপুর এলাকা থেকে উত্তেজিত জনতা তাকে আটক করে পুলিশে সোর্পদ করে।
মামলা ও বিভিন্ন তথ্য সূত্রে জানা গেছে, গত সোমবার দিবাগত গভীর রাতে পারিবারিক কলহের জের ধরে স্বামী নয়ন তার শ্বশুড় বাড়িতে এসে স্ত্রীর শয়ন ঘরে পেট্রোল ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয়। আগুন চারদিকে ছড়িয়ে পড়লে ওই সময় বাড়ির লোকজন বেরিয়ে এলে নয়ন পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।
এক পর্যায়ে এলাকার লোকজন পাষান্ড স্বামী নয়নকে পেট্রোলের বোতলসহ হাতেনাতে আটক করে । পরে এলাকাবাসী জরুরী সেবা ৯৯৯ এ ফোন দিলে খবর পেয়ে থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে আটককৃত পাষান্ড স্বামী নয়নকে আলামতসহ পুলিশ হেফাজতে নেয়।
মামলা বাদী আমিনুল হক বলেন, আমার মেয়ে জেরিনা আক্তার(২২)কে ৪ বছর পূর্বে আড়াইহাজার উৃপজেলা কৃষ্ণপুরা গ্রামের মৃত শহিদুল্লাহ মিয়ার ছেলে নয়নের সাথে বিয়ে দেই। বিয়ের পর জানতে পারি সে মাদক ব্যবসায়ী। সেই সাথে সে প্রায় সময় আমার মেয়েকে যৌতুকের জন্য চাপ দিত।
গত ৮ মাস যাবত আমার মেয়ে আমার বাড়িতে অবস্থান করছে। কিন্তু আমার মেয়ের স্বামী জেরিনাকে একজন মাদক ব্যবসায়ীর বাড়িতে পাঠাতে চাই না বলে মেয়ে আমার বাড়িতে অবস্থান করছে। সে গত সোমবার গভীর রাতে আমার বাড়িতে এসে আমার মেয়ের ঘরে পেট্রোল ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয়।
পরে বাড়ির আশপাশের লোকজন এসে আগুন নেভায়। এ সময় সে পালিয়ে যাওয়ার সময় এলাকাবাসী তাকে ধরে ফেলে। এ ব্যপারে বন্দর থানার ওসি মোলাম মোক্তার আশরাফ উদ্দিন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমরা মামলা নিয়েছি এবয় গতকাল বুধবার আসামী নয়নকে আদালতে পাঠিয়েছি।


































