নিউ জেনারেশন্স বাংলাদেশ-এনজিবি এবং বন্দর হেল্পলাইন সোসাইটির পক্ষ থেকে বিজয়ের সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা-২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৬ ডিসেম্বর (মঙ্গলবার) বন্দর উপজেলার ধামগড় ইউনিয়নে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে বিতর্ক প্রতিযোগিতার পাশাপাশি ও ৩টি প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয় যেখানে প্রত্যেক প্রতিযোগিতার ১ম স্থান অধিকারিদের একটি করে ট্যাব, ২য় স্থান অধিকারী দের ২ হাজার করে টাকা ও ৩য় স্থান অধিকারীদের ১ হাজার করে টাকা দেয়া হয়। বিতর্ক প্রতিযোগিতার প্রথম স্থান অর্জনকারী দলকে উপহার হিসেবে দেয়া হয়েছে ৫ হাজার টাকা এবং রানার্স আপ দল কে ৩ হাজার টাকা।
বিজয় দিবস শুধু একটি দিন নয়; এটি আমাদের অসীম ত্যাগের প্রতীক। মুক্তিযুদ্ধ ছিল কেবল একটি ভূখণ্ড বা পতাকার জন্য যুদ্ধ নয়, এটি ছিল গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার, সমতা ও মানবিক মর্যাদার জন্য যুদ্ধ। এটি ছিল শোষণের বিরুদ্ধে, বৈষম্যের বিরুদ্ধে এবং ঔপনিবেশিক শাসনের কবল থেকে মুক্ত হবার এক দুর্বার আকাঙ্ক্ষা।
মাহিয়া আহমেদ নিপা এবং আবির আহমেদ চৌধুরির সঞ্চালনায় উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চেম্বার অফ কমার্স এর ডিরেক্টর আহমেদুর রহমান তনু, বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন বন্দর সহকারী ভূমি কমিশনার রহিমা আক্তার ইতি, প্রধান আকর্ষণ হিসেবে ছিলেন এনজিবির আহবায়ক মো মেহরাব হোসেন প্রভাত, বিশেষ আকর্ষণ ছিলেন এনজিবির সদস্য সচিব মোঃ আলিফ দেওয়ান, ছাত্র প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জ্ঞানকোষ একাডেমির চেয়ারম্যান মোঃ ফাহিম খন্দকার অনিক।
অনুষ্ঠানের প্রধান আকর্ষন মোঃ মেহরাব হোসেন প্রভাত বলেন, আমি প্রথমেই গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করি সেই ত্রিশ লক্ষ শহীদকে, যাঁরা তাঁদের তাজা রক্ত দিয়ে লিখে গেছেন আমাদের বিজয়ের ইতিহাস। স্মরণ করি সম্ভ্রম হারানো লাখো মা-বোনকে, আর সেই বীর মুক্তিযোদ্ধাদের যাঁরা জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করেছেন। তাঁদের সর্বোচ্চ আত্মত্যাগেই আমরা পেয়েছি লাল-সবুজের এই পতাকা।
আজ বিজয়ের ৫৪ বছর। স্বাধীনতা অর্জনের চেয়েও স্বাধীনতা রক্ষা করা কঠিন। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে একটি অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক ও শোষণমুক্ত সোনার বাংলা বিনির্মাণে আমাদের একত্রে কাজ করে যেতে হবে ।
অনুষ্ঠানের বিশেষ আকর্ষণ মোঃ আলিফ দেওয়ান বলেন, নিউ জেনারেশন’স বাংলাদেশ বিশ্বাস করে, স্বাধীনতার প্রকৃত অর্থ বাস্তবায়ন করতে হলে তরুণ প্রজন্মকে মানবিকতা, নৈতিকতা ও দায়িত্ববোধে উদ্বুদ্ধ হতে হবে।
দুর্নীতিমুক্ত, বৈষম্যহীন ও উন্নত বাংলাদেশ গড়তে তরুণদের সক্রিয় অংশগ্রহণ অপরিহার্য।আজকের বিজয় দিবসে আমাদের অঙ্গীকার হোক—দেশের স্বার্থে ঐক্যবদ্ধ থাকা, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ সমুন্নত রাখা এবং আগামীর বাংলাদেশকে একটি শান্তিপূর্ণ, আধুনিক ও সম্ভাবনাময় রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলা।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি আহমেদুর রহমান তনু বলেন, আমি গভীর শ্রদ্ধা জানাই আমাদের সেসসকল ভাই ও বোনেদের যাদের তাজা রক্তের বিনিময়ে আজ আমরা এই নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি। নতুন বাংলাদেশ বিনির্মানের ক্ষেত্রে আমরা নতুন করে স্বপ্ন দেখেছি। আমরা যাতে সে স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে পারি তার জন্য সকলকে এগিয়ে আসতে হবে।
উক্ত অনুষ্ঠানের প্রধান দায়িত্বে ছিলেন, জেলা সংগঠক আলিফ মাহমুদ, বিএইচএস এর সেক্রেটারি হানজালা প্রধান, বিএইচএস এর ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্জন হাসান জয়, এনজিবির ডিরেক্টর গাজী মুন্না প্রমুখ।


































