ছাত্র-জনতার গনঅভ্যুত্থানের মধ্যদিয়ে হাসিনা সরকারের পতনের পর ভোল পাল্টে বিএনপি সাজার চেষ্টা করছেন গডফাদারখ্যাত শামীম ওসমানের দুই দোসর ফতুল্লা কুতুব আইলের আক্তার, সুমন। বিএনপি নেতাকর্মীদের কোনঠাসা করে এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। ইতোমধ্যে বিএনপির মাদক,সন্ত্রাস বিরোধী শান্তি মিছিলে হামলা চালিয়ে দলের প্রায় অর্ধ শতাধিক নেতাকর্মীকে রক্তাক্ত জখম করেছে।
সূত্র জানায়, আক্তার, সুমন ৫ আগষ্টের পর আত্মগোপনে চলে যায়। ফতুল্লা থানা বিএনপির শির্ষস্থানীয় এক নেতা কে ম্যানেজ করে এবং তাঁর নিদের্শে এলাকায় ফিরে এসে মারমুখী অবস্থান নিয়েছেন ফতুল্লার এক সময়ের গডফাদার আলাউদ্দিন হাজীর দুই পুত্র আক্তার,সুমন।
ভগ্নিপতি এবং পঞ্চবটী এলাকার আলোচিত যুবলীগ ক্যাডার ওলা মাসুদকে সঙ্গে নিয়ে বিশাল বাহিনী নিয়ে এলাকায় অবস্থান করে। আক্তার, সুমন পঞ্চবটীর যুবলীগের ক্যাডারদের নিজ বাড়ী,অফিস,ডাইং কারাখানায় রেখে বিএনপির নেতাকর্মীদের উপর হামলে পড়েছে। গত বুধবার দুপুরে বিএনপির নেতাকর্মীদের উপর হামলা করে এলাকায় ফিরে আসার বার্তা জানান দিয়েছেন।
স্থানীয়রা জানায়, আলাউদ্দিন হাজী জীবিত থাকাকালীন সময়ে শামীম ওসমানের হাতে তুলে দিয়ে গেছেন পুত্র আক্তার এবং সুমনকে। কুতুবাইল নিজ বাসায় এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ফুলের নৌকা শামীম ওসমানের হাতে দিয়ে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। এরপর আওয়ামীলীগের একাধিক অনুষ্ঠানে অংশ নিতে দেখা গেছে আক্তার,সুমনকে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ অনুষ্ঠানেও শামীম ওসমানকে সঙ্গে নিয়ে কেক কেটে জন্মদিন পালন করতে দেখা গেছে।
সূত্রমতে, আক্তার, নিজাম এবং নিপুর দিক নিদর্শনায় আওয়ামীলীগের পুরো সময়ে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেন সন্ত্রাসী আক্তার, সুমন। এই সন্ত্রাসী সহোদরের কাছ থেকে এলাকাবাসী ছাড়াও তাঁর স্বজনরা রেহাই পায়নি।
নিজ বাড়ী এবং শীতলক্ষ্যা হাউজিংয়ে গড়ে তুলেছে টর্চারসেল। এলাকাবাসী, প্রতিবেশী কারো পান থেকে চুন খসলেই নিমে আসতো নির্যাতনের খরগ। এই সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে যৌথ বাহিনীর হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন ভুক্তভোগী মহল।