নারায়ণগঞ্জ টাইমস | Narayanganj Times

বৃহস্পতিবার,

৩০ অক্টোবর ২০২৫

ফতুল্লায় ইজিবাইক চালক মমিনুলকে পিটিয়ে হত্যা, মূলহোতা গ্রেপ্তার

নারায়ণগঞ্জ টাইমস

প্রকাশিত:১৯:১৩, ৩০ অক্টোবর ২০২৫

ফতুল্লায় ইজিবাইক চালক মমিনুলকে পিটিয়ে হত্যা, মূলহোতা গ্রেপ্তার

ফতুল্লায় ইজিবাইক চালক মমিনুল হক (৩০) কে পিটিয়ে হত্যার চাঞ্চল্যকর ঘটনার মূলহোতা মামুন ওরফে প্রিন্স মামুন (২৮) কে ২৪ ঘন্টার মধ্যে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১১।

বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) বেলা পৌনে ১২ টায় র‌্যাব-১১’র সদর কোম্পানীর একটি চৌকস আভিযানিক দল ফতুল্লার মাসদাইর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে।

একই দিন দুপুরে র‌্যাব-১১’র সদর দপ্তর থেকে অপস্ অফিসার সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো: গোলাম মোর্শেদ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে গনমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। গ্রেফতারকৃত মামুন ওরফে প্রিন্স মামুন পটুয়াখালী জেলার রাঙ্গাবালী থানার মনিপাড়া এলাকার কমাল মজুমদারের ছেলে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে র‌্যাব জানায়, গত মঙ্গলবার ২৮ অক্টোবর বিকেলে ফতুল্লার পঞ্চবটি এলাকায় মো. মমিনুর নামে ইজিবাইক চালককে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। তারই প্রেক্ষিতে আজ বেলা পৌনে ১২টায় ফতুল্লার মাসদাইর এলাকায় অভিযান চালিয়ে চাঞ্চল্যকর এ ঘটনার মূলহোতা মামুন ওরফে প্রিন্স মামুনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ফতুল্লা মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও র‌্যাব নিশ্চিত করেছে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, নিহত অটো চালক মমিনুল হক পরিবার নিয়ে ফতুল্লার উত্তর নরসিংপুরে হারুন মিয়ার বাড়িতে ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করে আসছিলেন। প্রতিদিন সকাল ৮ টায় বাসা থেকে অটো চালাতে মাসদাইর রিপন মিয়ার গ্যারেজে যেতেন এবং রাত ১০ টায় অটোরিক্সা গ্যারেজে জমা দিয়ে নিজ বাসায় ফিরে আসতেন।

ঘটনার দিন সকাল ৮ টায় নিজ বাসা থেকে বের হয়ে ব্যাটারী চালিত অটোরিক্সা চালাতে যান। ওই দিন দুপুর  ১২ টার দিকে উক্ত গ্যারেজে অটো চার্জে দেন। পরবর্তীতে অপর অটোরিক্সা চালক মো: সবুজ (২১) এর সাথে পঞ্চবটি মোড় চায়না প্রজেক্টের পাশে যান।

এসময় পূর্ব-শত্রুতার জেরে মামুনসহ অন্যান্য আসামিরা মমিনুল হক এবং তার সঙ্গীয় অটোরিক্সা চালাক সবুজকে কথা আছে বলে পঞ্চবটি প্রধান পাম্পের পশ্চিম পাশের চিপা গলির ভিতর নিয়ে যায়। চিপা গলিতে নিয়ে আসামিদের হাতে থাকা দেশীয় অস্ত্র-সন্ত্র নিয়ে দুই জনকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে টাকা দাবী করে।

দুই জন টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় আসামিরা মারধরসহ হত্যার হুমকী প্রদান করে। একপর্যায়ে আসামি মামুনসহ সকল আসামিরা টাকা না পেয়ে তাদেরকে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে। ভিকটিমদের নিকট নগদ টাকা না থাকায় আসামীরা মারধর করে ছেড়ে দিলে ভিকটিম মমিনুল হক মাসদাইর রিপন মিয়ার গ্যারেজে চলে আসেন।

গ্যারেজে আসার পর তিনি হঠাৎ শারীরিক ভাবে অসুস্থ হয়ে পরেন। গ্যারেজে থাকা অন্যান্য অটোরিক্সা চালকেরা তাকে অসুস্থ দেখে কি হয়েছে জিজ্ঞাসা করলে অসুস্থার কারণে বেশি কথা বলতে পারেন নাই। শুধু বলেন তাকে নিজ বাড়ীতে নিয়ে যাওয়ার জন্য।

তখন চার জন অটো চালক একটি অটোরিক্সাতে করে মমিনুরকে নিজ বাসায় নিয়ে আসার সময় পথিমধ্যে উত্তর নরসিংপুর স্কুলের সামনে অটোরিক্সার মধ্যে সে মৃত্যুবরণ করে। তাৎক্ষনিক ভাবে তারা একটি স্থানীয় ফার্মেসীতে নিয়া গেলে ফার্মেসীতে থাকা পল্লী চিকিৎসক পালস চেক করে সে মৃত্যুবরন করেছে বলে জানায়।

পরবর্তীতে নিহতের বাবা জালাল উদ্দীন বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।