নারায়ণগঞ্জ টাইমস | Narayanganj Times

সোমবার,

০৬ মে ২০২৪

সোনারগাঁয়ে কলেজ অধ্যক্ষকে বাংলাদেশ সর্বহারা প্রধান পরিচয়ে হুমকি

নারায়ণগঞ্জ টাইমস

প্রকাশিত:০৪:১৩, ২৭ ডিসেম্বর ২০২২

সোনারগাঁয়ে কলেজ অধ্যক্ষকে বাংলাদেশ সর্বহারা প্রধান পরিচয়ে হুমকি

 নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সোনারগাঁ গঙ্গবাসি ও রামচন্দ্র পোদ্দার ইনস্টিটিউশন মডেল স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মো. সুলতান মিয়ার পরিবারকে দেখে নেয়া ও মেরে ফেলার হুমকি দেয়া হয়েছে।


সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) সাড়ে ১২টার দিকে বাংলাদেশ সর্বহারা প্রধান পরিচয়ে মোবাইল ফোনে এ হুমকি দেওয়া হয়। এ ঘটনাও তিনি ও তার পরিবার আতংকের মধ্যে রয়েছেন। এ ঘটনায় বিকেলে তিনি সোনারগাঁ থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন। সাধারণ ডায়েরীর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অধ্যক্ষ মো. সুলতান মিয়া।


সোনারগাঁ থানায় দায়ের করা সাধারণ ডায়েরীতে তিনি উল্লেখ করেন, তিনি এ প্রতিষ্ঠানে প্রায় ২৯ বছর যাবৎ কর্মরত। বর্তমানে তিনি অধ্যক্ষ হিসেবে কর্মরত। সোমবার বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে কলেজে দাপ্তরিক কাজ করার সময় ০১৬১০৩৭৮৬২০ নম্বর থেকে তার নম্বর ০১৮১৫৪১৬৮৭৯ এ একটি ফোন আসে। সেই ফোনে জনৈক শ্যামল কুমার বিশ্বাস নামের একজন সর্বহারা গ্রুপের নারায়ণগঞ্জ জেলার দায়িত্বে রয়েছেন বলে পরিচয় দেন। 


সেই ফোনে শ্যামল কুমার বিশ্বাস আরও বলেন, বাংলাদেশের সর্বহারা প্রধানের সাথে কথা বলতে বলেন। তারপর বাংলাদেশের সর্বহারা প্রধান নিজেকে পরিচয় দিয়ে তাকে হুমকি দিয়ে বলেন আমি বেশিরভাগ সময় দেশের বাইরে থাকি। আমার দলের কিছু ছেলে জেলে আছে। আমি আইনমন্ত্রী আনিছুল হকের সাথে দেখা করেছি। তাদের জেল থেকে বের করতে কিছু টাকা লাগবে। সেই টাকা আপনি আমাকে দিবেন। 


তিনি জিডিতে আরো উল্লেখ করেন, তিনি সর্বহারা গ্রুপের প্রধানের কাছে ক্ষমা চেয়ে অপারগতা প্রকাশ করেন। এতে তাকে ও তার পরিবারের সদস্য যারা আছেন তাদের দেখে নেবেন ও মেরে ফেলবেন বলে নানা ভাবে হুমকি প্রদান করেন। 


সোনারগাঁ গঙ্গবাসি ও রামচন্দ্র পোদ্দার ইনস্টিটিউশন মডেল স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মো. সুলতান মিয়া বলেন,  তিনি সর্বহারার নাম শুনে লাউড স্পীকার অন করে কথা বলি। তখন তার সামনে ওই কলেজের সামনে সহকারী অধ্যাপক গোলাম মোর্তুজা, নুরুল হক ও মিজানুর রহমান নামের একজন প্রাক্তন ছাত্র উপস্থিত ছিলেন।

 

পরে প্রাক্তন ছাত্র সর্বহারা গ্রুপের প্রধানের মোবাইলে বলা শেষের দিকে কিছু কথা রেকর্ড করেন। বর্তমানে ওই রেকর্ড তার কাছে সংরক্ষিত ও থানায় জমা দিয়েছেন। 


সোনারগাঁ থানার ওসি মাহবুব আলম বলেন, জিডির বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। আশা করি শিঘ্রই এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে পারবো।