নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের ভুলতা গাউছিয়া কাঁচা বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে বিভিন্ন ধরনের শতাধিক দোকান পুড়ে গেছে। সেই সাথে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠনের ক্যাশ টাকা। যদিও আগুনে ক্ষয়ক্ষতির পরিমান ও হতাহতের খবর পাওয়া যায় নি। তবে ব্যবসায়ীদের দাবি ক্ষয়ক্ষতির পরিমান শত কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে।
এদিকে ঈদের আগে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়ে কান্নায় ভেংগে পড়েন ক্ষতিগ্রস্ত অনেক ব্যবসায়ী।
রোববার (২৪ মার্চ) ভোররাত সোয়া ৩ টার দিকে অগ্নিকান্ডের এই ঘটনা ঘটে ।
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ৪টি স্টেশনের ৮টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌছে দুই ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে ভোর পৌনে ৬টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
স্থানীয়রা জানান, গাউছিয়া কাচাঁবাজারে প্রায় দেড়'শোর অধিক বিভিন্ন ধরনের দোকান ছিল। এর মধ্যে হার্ডওয়্যার, টিনের দোকান, চাউলের গোডাউন, টায়ার টিউব, অটোমোবাইল, ঔষধের দোকান, ছোট ছোট কাচামালের দোকান, খাবারের দোকান রয়েছে।
তারা আরও জানান, রাতে গাউছিয়া কাঁচাবাজারের একটি দোকান থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। সঙ্গে সঙ্গে আগুনের লেলিহান শিখা পুরো কাঁচাবাজার ও টিনমার্কেটে ছড়িয়ে পড়ে। আগুন লাগার খবর পেয়ে মার্কেটের সামনের দিকের কিছু দোকানের মালামাল মালিকরা বের করতে পারলেও ভেতরে থাকা সব দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
রফিক নামে এক ফার্মেসি মালিক বলেন, এই মার্কেটে বিভিন্ন পণ্যসামগ্রীর প্রায় তিন শতাধিক দোকান রয়েছে। বেশিরভাগ দোকান পুড়ে গেছে। সবাই ঈদ উপলক্ষে মালামাল তুলেছিল, সব মাল আগুনে পুড়ে গেছে। অনেকের দোকানের ভিতরে নগদ টাকাও ছিল।
সড়কে টহলরত ভুলতা পুলিশ ফাড়ির এসআই উত্তম জানান, রাতে বৃষ্টি থামার পর সেহরীর সময় মার্কেটের সামনে বৈদ্যুতিক খুটিতে স্পার্ক থেকে আগুনের সৃত্রপাত হয়। কিছুক্ষনের মধ্যে আগুন পুরো মার্কেটে ছড়িয়ে পড়ে। আমরা সাথে সাথে পুলিশ কন্ট্রোল রুমে ম্যাসেজ দেই। সেখান থেকে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়া হয়।
খবর পেয়ে রাত ৩টা ৫০ মিনিটে ঘটনাস্থলে পৌছায় ফায়ার সার্ভিসের প্রথম ইউনিট। এরপর আগুনের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় আড়াইহাজার, কাঞ্চন নদী , ডেমরা ও পূর্বাচল ফায়ার স্টেশনের আটটি ইউনিট একযোগে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে।
নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপ পরিচালক সালেহ উদ্দিন উদ্দিন আহাম্মদ জানান, ভোর পৌনে ৬ টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। আগুনে কেউ হতাহত হয়নি। আগুনের সূত্রপাত ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমান তদন্তের পর বলা যাবে।
তিনি আরও জানান, কাচাবাজারের দোকান ছাড়াও এখনে ওষুধ, হাডওয়ার, টায়ার টিউবের দোকান সহ বিভিন্ন দোকান ছিল, সেই কারণে আগুন খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। তবে ফায়ার সার্ভিস আসার পর আগুন আর ছড়াতে পারেনি। একটি নির্দিষ্ট গন্ডির মধ্যে রেখে আমরা আগুনটাকে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসি। আগুনে এখন পর্যন্ত কোন হতাহত হয়নি বলেও জানান তিনি।