নারায়ণগঞ্জ টাইমস | Narayanganj Times

শনিবার,

০৫ অক্টোবর ২০২৪

রূপগঞ্জে ঘটনার ৩ বছর পর অন্ত:স্বত্তা গৃহবধূ হত্যার বিচার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন

নারায়ণগঞ্জ টাইমস

প্রকাশিত:১৪:২৪, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪

রূপগঞ্জে ঘটনার ৩ বছর পর অন্ত:স্বত্তা গৃহবধূ হত্যার বিচার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন

 রূপগঞ্জে ঘটনার তিন বছর পর অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধু মায়মুনা আক্তার (২০) হত্যার বিচার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন নিহতের স্বজনরা।

সোমবার দুপুরে রূপগঞ্জ উপজেলার মঠেরঘাট রূপগঞ্জ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের ও ফাসির দাবি জানান স্বজনরা। 
মায়মুনা আক্তার রূপগঞ্জ উপজেলার মাছিমপুর এলাকার ইদ্রিস আলীর মেয়ে। 

সংবাদ সম্মেলনে মায়মুনা আক্তার এর বাবা ইদ্রিস আলী অভিযোগ করে বলেন, ২০২০ সালে একই উপজেলার ব্রাহ্মণগাঁও এলাকার মোহাম্মদ আলীর ছেলে সাকিব মিয়া সঙ্গে মায়মুনা আক্তারের বিয়ে হয়। বিয়ের পর রোহান নামে একজন ছেলে সন্তান হয়।

বিয়ের পর থেকেই দুই লাখ টাকার যৌতুকের দাবিতে মায়মুনা আক্তারকে শারীরিক পাশবিক নির্যাতন চালাতো স্বামী মাদকাসক্ত শাকিব মিয়া, শাশুড়ি রিনা বেগম, শ্বশুর মোহাম্মদ আলী। দাবিকিত যৌতুকের ৭০ হাজার টাকা পরিশোধও করেন তারা।

পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা মায়মুনা আক্তারের উপর নির্যাতন চলতেই থাকে। সর্বশেষ ২০২২ সালের ১২ জুন সকালে নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে মায়মুনা আক্তার আউখাবো এলাকার বালুর মাঠে গিয়ে আশ্রয় নেয়।

সেখান থেকে পাষন্ড স্বামী শাকিব মিয়া ও তার বাহিনীর সন্ত্রাসীরা জোরপূর্বক ধরে এনে ফের শারীরিক নির্যাতন চালায়। এক পর্যায়ে মায়মুনাকে পিটিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করে।

ইদ্রিস আলী অভিযোগ করে আরো বলেন, মুড়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগ নেতা তোফায়েল আহমেদ আলমাস এর বাহিনীর সদস্য হয়ে কাজ করতেন শাকিব মিয়া।

ওই সময়ে হত্যার ঘটনায় মামলা করতে গেলে তোফায়েল আহমেদ আলমাস পুলিশকে মামলা নিতে বারণ করেন। তখন বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে চালিয়ে দিয়ে একটি অপমৃত্যুর মামলা নেওয়া হয় ।

এছাড়া ইদ্রিস আলীর পরিবার বিএনপি করার অপরাধে থানা পুলিশের কোন সহযোগিতা পাননি। 

মেয়ে মায়মুনা আক্তার হত্যার ঘটনায় হত্যা মামলা নেয়ার দাবি এবং আসামিদের ফাঁসির দাবি জানান বাবা ইদ্রিস আলী। 

সংবাদ সম্মেলনে মায়মুনা আক্তারের বোন শিখা আক্তার, ভাই যুবদল নেতা সেলিম মিয়া ও মাসহ স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন।

তবে, এই ঘটনায় বক্তব্য নেওয়ার জন্য মুড়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তোফায়েল আহমেদ আলমাসের সঙ্গে তার মুঠোফোনে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি। 

নারায়ণগঞ্জ জেলা সরকারি পুলিশ সুপার গ সার্কেল হাবিবুর রহমান বলেন, এ ধরনের ঘটনার বিষয়ে আমার জানা নেই। গৃহবধুর পরিবারের পক্ষ থেকে  লিখিত ভাবে অভিযোগ দিলে  তদন্ত করে বিষয়টি দেখব।