সিদ্ধিরগঞ্জে পুলিশের বিশেষ অভিযানে বৈষম্য বিরোধী মামলার আসামীসহ মোট ১৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) দিবাগত রাতে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা এলাকার বিভিন্ন ওয়ার্ডে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে ৪ জন নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও যুবলীগের সক্রিয় নেতাকর্মী বলে নিশ্চিত করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, এই চার নেতাকর্মীকে বৈষম্য বিরোধী হত্যা ও হত্যা চেষ্টা মামলায় বুধবার (১২ নভেম্বর) দুপুরে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত অন্য ১১ জন মাদকসহ বিভিন্ন মামলায় ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি।
কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের সক্রিয় কর্মী মোঃ ভোলা মেম্বার (৫৪), যুবলীগের সক্রিয় কর্মী মোঃ মাইন উদ্দিন (২৪), সিদ্ধিরগঞ্জ ৮নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবকলীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক জিয়াউল হক জিয়া (৪৫) যুবলীগের সক্রিয় কর্মী মোঃ রবিন (৩৫)।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ শাহিনূর আলম জানান, নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগের ডাকা ১৩ নভেম্বরের শাটডাউনকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন স্থানে নাশকতার পরিকল্পনার সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে এই ৪ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নিহত ছাত্র হত্যা ও নাশকতার দায়ে দায়েরকৃত একাধিক মামলা রয়েছে। গ্রেফতারকৃত মোট ১৫ জনকেই আজ বুধবার দুপুরে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
এদিকে, এলাকাবাসীর অভিযোগ, গ্রেফতারকৃত মো. রবিন এবং ভোলা মেম্বার বৈষম্যবিরোধী একাধিক ছাত্র হত্যা মামলার আসামি এবং এলাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী। তারা কারাগারে থাকা যুবলীগ নেতা ও নাসিক ৬নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর মতির অন্যতম অস্ত্রধারী ক্যাডার হিসেবে পরিচিত। অভিযোগ মতে, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের দোসর ও বহু অপকর্মের হোতা হিসেবে পরিচিত এই কর্মীরা মতির গুপ্তচর হয়ে গোদনাইল বার্মাশীল ও আদজী বিহারী ক্যাম্প এলাকায় গোপনে নিষিদ্ধ ঘোষিত আ.লীগের বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করার চেষ্টা করছিল


































