
সিদ্ধিরগঞ্জে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে জোরপূর্বক বিভিন্ন ধরণের অর্ধ শতাধিক ফলজ গাছ কেটে ফেলে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন নাসিক ১নং ওয়ার্ড হিরাঝিল (৩নং গলি) এলাকায় মৃত দিল মোহাম্মদ এর ছেলে ভুক্তভোগী এস, জে আমিনুল শাহ (৫০) সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। কিন্তু এ ঘটনায় পুলিশ থানায় জিডি করতে পরামর্শ দিলেও মামলার জন্য ভুক্তভোগীকে আদালতে যেতে বলেন।
অভিযোগে আমিনুল শাহ উল্লেখ করেন, আমি আমার নিজ জমিতে বিভিন্ন ধরনের ২০টি পেঁপে গাছ ও ৩০টি কলাগাছ রোপন করি। এরপর গত ২ সপ্তাহ যাবৎ উক্ত জায়গায় নারিকেল, সুপারি, কাঁঠাল, বেগুন, মরিচ, পেঁপে, লাউ, কুমড়া ইত্যাদি সবজি ও ফলফলাদির গাছ রোপন করে আসছি।
মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) জায়গায় এসে দেখি জমিনের পূর্ব পাশে লাগানো বিভিন্ন জাতের নারিকেল, গাছ কাটিয়া ফেলে দিয়ে আমার প্রায় ৪০ হাজার টাকার ক্ষতিসাধান করে। এবং উক্ত স্থানে রোপনের জন্য রাখা ১০টি নারিকেল চারা, ২০টি সুপারির ও বিভিন্ন জাতের চারা আনুমানিক মূল্য ২০,০০০ (বিশ হাজার) টাকার গাছ চুরি করিয়া নিয়া যায়।
অভিযোগে তিনি আরও উল্লেখ করেন, হিরাঝিল (৩নং গলি) এলাকার মো: আবু তাহের (৫৫) পিতা মৃত জয়নাল আবেদীন, রুমা আক্তার (৪৫) স্বামী আবু তাহের স্থানীয় প্রভাবশালী মহলের চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্রে উক্ত সম্পত্তি বেদখল করার এবং আমার ক্ষতি সাধন করার জন্য দীর্ঘদিন যাবৎ চেষ্টা করে আসছে।
আবু তাহের ও রুমা আক্তার ৫-৬ জন অজ্ঞাতনামা লোকসহ আমার জমিনে এসে ফলমান বৃক্ষ কেটে ফেলে ক্ষতিসাধন করে এবং উল্লেখিত গাছের চারাসমূহ নিয়া যায়।
আমি বিষয়টি জিজ্ঞাসাবাদ করতে অভিযুক্তরা তাদের সঙ্গীয় অজ্ঞাতনামা ৫-৬ জন লোকসহ আমাকে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করিয়া মারপিট করিতে উদ্যত হয় এবং উক্ত ঘটনা নিয়া কোনোরূপ মামলা মোকদ্দমা করলে ভবিষ্যতে যেখানে পাইবে আমাকে মারপিট করে খুন করে ফেলবে বলিয়া হুমকি দিয়ে চলে যায়।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী আমিনুল শাহ বলেন, এ ঘটনার পর থেকে অব্যাহত হুমকিতে আমরা আতংকে দিনাতিপাত করছি। অভিযোগ দিলেও এ ঘটনায় মামলা হয়নি।
এ সময় তিনি অভিযুক্তদেরে হাত থেকে রক্ষা পেতে আইনশৃংখলা বাহিনীর উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
অভিযোগ তদন্তকারী কর্মকর্তা সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সিরাজুল ইসলাম বলেন, গাছ কাটার বিষয়ে অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এভাবে গাছ নস্ট করা ঠিক হয়নি। বলে এসেছি জমি নিয়ে কোনো সমস্যা থাকলে মাপজোক করে ঠিক করে নেন।
মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি তো বলেই এসেছি এ ঘটনায় থানায় জিডি হবে। মামলা করলে আদালতে করতে পারেন।
বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহিনুর আলমের সাথে যোগাযোগ করার চেস্টা করেও পাওয়া যায়নি।