নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে মল্লিক এগ্রো ফুড এন্ড ভেবারেজ নামক একটি অনুমোদনহীন কারখানার গোডাউন থেকে বিপুল পরিমান ভেজাল কোমল পানীয় এবং শিশু খাদ্য জব্দ করেছে ভ্রাম্যমান আদালত।
বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) সকাল ১০ টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত সিদ্ধিরগঞ্জের নিমাইকাশারী ক্যানেল পাড় এলাকায় জেলা প্রশাাসনের সিনিয়র সহকারী কমিশনার মো.
মোনাব্বর হোসেনের নেতৃত্বে নরাপদ খাদ্য আইনের অধীনে এই মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়।
জব্দ হওয়া কোমল পানীয়র মধ্যে রয়েছে বোতলজাত ম্যাংগু জুস, এনার্জি ড্রিংক, লাচ্ছি, সাদা পানি, শিশুখাদ্য আইস ললি।
এসময় জব্দ হওয়া বিপুল পরিমান কোমল পানীয় প্রকাশ্যে জনসম্মুখে ধ্বংস করা হয় এবং গোডাউনে রক্ষিত আরো বিপুল পরিমান কোমল পানীয় এবং শিশুখাদ্য জব্দের পর গোডাউনটি সিলগালা করে বিল্ডিং মালিকের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়। তবে অভিযান টের পেয়ে মালিক পক্ষের লোকজন সটকে পরে বলে জানা গেছে।
এদিকে সরকারী কাজে অসহযোগিতার অপরাধে দন্ড বিধির ১৮৬০ এর ১৮৬ ধারায় ওই প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী মান্নান (৩৯) কে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।
সিদ্ধিরগঞ্জের নিমাইকাশারী এলাকার আব্দুল জব্বার মল্লিকের ছেলে মো: হেলাল মল্লিক দীর্ঘদিন ধরে মল্লিক এগ্রো ফুড এন্ড ভেবারেজ প্রতিষ্ঠানের আড়ালে এ ভেজাল খাদ্য তৈরী করে বাজার করে আসছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছে।
জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সিনিয়র সহকারী কমিশনার মো: মোনাব্বর হোসেন বলেন, নিরাপদ খাদ্য আইন ২০১৩ অনুযায়ী ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে দেখতে পাই একটি গোডাউনে অবৈধ উপায়ে এনার্জি ড্রিংকস, শিশুখাদ্য প্রস্তুত করছিল।
এগুলোর কোন আইনগত ভিত্তি নেই। তারা অবৈধ উপায়ে উৎপাদন করে আসছিল। যার কারণে তাদের আইনের আওতায় এনেছি। এসময় উপস্থিত কাউকে না পাওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে নিয়মত আইনে মামলা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
জেলা নিরাপদ খদ্য কর্মকর্তা সুরাইয়া সাইদুন্নাহার জানান, মোবাইল কোর্ট পরিচালনার সময় দেখা যায়, প্রতিষ্ঠানটি অনুমোদন বিহীন ম্যাংগো ড্রিংক, অরেঞ্জ ড্রিংক, লিচি ড্রিংক, আইসললি, পানি, লাচ্ছি, চকলেট সহ বিভিন্ন পণ্য উৎপাদন ও বাজারজাত করে আসছিল।
এছাড়া বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের লেবেল পাওয়া যায়। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্য উৎপাদন, অননুমোদিত রঙ, ফ্লেভার, হাইড্রোজ ও প্রায় ৪৬০ কার্টুন অননুমোদিত বিভিন্ন পণ্য জব্দ ও বিনষ্ট করা হয় এবং কারাখানা সিলগালা করা হয়।
কারখানার মালিক/ম্যানেজারকে না পাওয়ায় নিয়মিত মামলা করার নির্দেশনা প্রদান করা হয়। অভিযানে পুলিশের দুইটি চৌকস দল সার্বিক সহযোগিতা করেন।


































