সরকার ২০১৬ সালে তিতাস গ্যাসের আবাসিক সংযোগ বন্ধ ঘোষণা করলেও সিদ্ধিরগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় অবৈধ সংযোগের বিস্তার দিন দিন বেড়েই চলেছে। হাউজিং, ভূমি পল্লী, হিরাঝিল, পাইনাদী নতুন মহল্লা, সিআইখোলা, রনি সিটি, মক্কিনগরসহ আশপাশের এলাকায় হাজারোও অবৈধ গ্যাস সংযোগ এখন ওপেন সিক্রেট।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সরকারি সিদ্ধান্তে বৈধ সংযোগ বন্ধ থাকায় ঠিকাদারদের কাজ নেই কিন্তু কিছু অসাধু ঠিকাদার ও দালাল চক্র এখন গোপনে অবৈধ সংযোগ দিয়ে কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। এতে একদিকে সরকার বৃহৎ রাজস্ব হারাচ্ছে, অন্যদিকে বাড়ছে বিস্ফোরণ ও দুর্ঘটনার ঝুঁকি।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, তিতাসের কিছু অসাধু কর্মচারী ও ঠিকাদারদের যোগসাজশে একটি দালাল সিন্ডিকেট এই সংযোগ বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে। অনেক এলাকায় প্রকাশ্যে পাইপ বসানো, সংযোগ দেওয়া হলেও প্রশাসনের তেমন তৎপরতা নেই।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক বাড়ির মালিক বলেন, আমরা টাকা খরচ করে বাড়ি নির্মাণ করেছি। তিতাসের সংযোগ ছাড়া ভাড়াটিয়া পাওয়া যায় না তাই আমরা বাধ্য হয়ে অবৈধ সংযোগ ব্যবহার করতে হচ্ছে। অবৈধ সংযোগ ব্যবহার করা হলেও সরকারের নির্ধারিত ফি যত টাকা আসে তত টাকাই আমাদের কাছে নিচ্ছে দালাল চক্র।
তারা আরো বলেন, দালাল চক্রকে টাকা দিতে অনিহা প্রকাশ করলে তারা তিতাস অফিসের মাধ্যমে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে এবং জরিমানা করা হয়। তাই বাধ্য হয়েই দালাল চক্রকে মাসোয়ারা দিয়ে অবৈধ সংযোগ চালিয়ে যাচ্ছি আমরা। সরকার তিতাসের সংযোগ বৈধ করে দিলে যেমনি সরকার রাজস্ব পেত আমরাও হয়রানি থেকে মুক্তি পেতাম।
সচেতন মহলের দাবি অবিলম্বে অভিযান চালিয়ে অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন ও দায়ী কর্মকর্তা ও দালাল দের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। পাশাপাশি, নিরাপদ ও বৈধ গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত করার দাবিও জানিয়েছেন তারা।
এ বিষয়ে তিতাস গ্যাস নারায়ণগঞ্জ শাখার ম্যানেজার মোহাম্মদ আলীর (০১৯৫....৫৪৪) মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভি করেননি।


































