নারায়ণগঞ্জ টাইমস | Narayanganj Times

বৃহস্পতিবার,

২৫ এপ্রিল ২০২৪

সোনারগাঁয়ে এসেছি একটা ‘ম্যাসেজ’ দিতে : শামীম ওসমান

নারায়ণগঞ্জ টাইমস:

প্রকাশিত:০৪:২১, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২১

নারায়ণগঞ্জ- ৪ আসনের সাংসদ শামীম ওসমান বলেছেন, আমরা দল করছি কার জন্য? শেখ হাসিনার জন্য। আমাদের কি অবদান আছে? আমাদের অবদান কম। তারপরও কিছুটা আছে। নারায়ণগঞ্জে এই আওয়ামীলীগকে ক্ষমতায় আনতে গিয়ে ৪৯ জন নেতাকর্মীকে নিজের হাতে দাফন করেছি। গণতন্ত্রের জন্য তারা জীবন দিয়েছে। তাই আমাদের দায়িত্ব অনেক বেশি। এই নারায়ণগঞ্জের বায়তুল আমানে আওয়ামীলীগের জন্ম হয়েছে। তাই কোন বিভাজন থাকবে না।  আজকে থেকে সোনারগাঁয়ের আওয়ামীলীগ হবে একটা পরিবার।

 

 

সোমবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিকালে সোনারগাঁ উপজেলা পরিষদ উপ-নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী এডভোকেট শামসুল ইসলাম ভূঁইয়ার মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার আগে সোনারগাঁ উপজেলা পরিষদ চত্বরে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

 

 

শামীম ওসমান বলেন, আমি যখন কানাডা ছিলাম, তখন সোনারগাঁয়ের নেতারা আমার নির্দেশনা মেনেছেন। এখন কোথায় যেন একটা গোন্ডগোল। সবাই যেন আমরা স্বার্থের কথাটা একটু বেশি চিন্তা করছি। আজ আমি উপজেলা নির্বাচনের জন্য সোনারগাঁয়ে আসিনি, আমি আসছি আপনাদের একটা ম্যাসেজ দিতে। সামনে যে সময়টা আসতেছে সেটা আওয়ামীলীগের জন্য একটা কঠিন পরীক্ষার সময়। এই কঠিন পরীক্ষা হচ্ছে কার সাথে কার? শেখ হাসিনা মানে কি? শেখ হাসিনা মানে বাংলাদেশ। শেখ মানে উন্নয়ন, শেখ হাসিনা মানে অসম্প্রদায়িকতা। শেখ হাসিনা মানে আমাদের সকলের যে সন্তান আছে সেই সন্তানদের আগামীদিনের ভবিষ্যত। আমাদের ভবিষ্যত নস্ট করা হয়েছিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে হত্যা করে। আজকে আমি শামীম ওসমান মরে গেলে কিছু হবে না। কেউ কেউ খুশিও হতে পারে। আমাদের ধৈর্য্য ধরতে হবে। সোনারগাঁও পলিটিক্সে আমাদের ধৈর্য্য কমে গেছে। আমাদের ধৈর্য্য ধরতে হবে,এক সাথ হতে হবে।

 

 

শামীম ওসমান উপস্থিত নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমি আপনাদের কথা দিচ্ছি, আমি আপনাদের পাশে আছি, থাকবো। কিন্তু পরিবারের মধ্যে যদি মন কষাকষি থাকে তাহলে পরিবারে কেউ খুশি থাকে না। জাতিরজনকের কণ্যা শেখ হাসিনার জন্য এবার এক হতে হবে। কারণ শকুন কামড় দিবে। আকাশে উঁড়তেছে। এই শকুন হচ্ছে স্বাধীনতা বিরোধী। এই শকুন হচ্ছে একুশে আগস্টে গ্রেনেড হামলা। এই শকুন হচ্ছে আমার নেত্রীকে হত্যা করতে চায়। বাংলাদেশের ভবিষ্যতদের ধংস করতে চায়। এই শকুনে থাবা থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। এর সেটার জন্য সবচেয়ে বড় শক্তি হচ্ছে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ সংগ্রাম। 

 


 এখন সোনারগাঁ আওয়ামীলীগের পরিসর বেড়েছে সে হিসেবে বর্তমান আওয়ামীলীগ আগের চেয়ে বেশী শক্তিশালী হওয়ার কথা কিন্তু সেটা দেখছি না। কারণ নিজেদের মধ্যে বিভেদ থাকলে শক্তি কমে যায়। আজকে আমি শেখ হাসিনার একজন কর্মী এবং বঙ্গবন্ধুর একজন আদর্শের সৈনিক হিসেবে আপনাদের সবার কাছে হাতজোড় করে ভিক্ষা চাই আমরা সবাই এক থাকবো। কারণ আমরা জানি সামনে কি হতে যাচ্ছে। তাই আপনারা দয়া করে ঐক্যবদ্ধ থাকবেন। আমরা সামনে আবার বসবো। 

 


এসময় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে শামীম ওসমান বলেন, আমরা একটা শপথ করি। তা হলো আমরা জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা মেনে চলবো। তখন উপস্থিত সকল নেতাকর্মী হাত তুলে শপথ করেন।

 

 

এদিকে শামীম ওসমানের বক্তব্যেও পর সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাচন অফিসে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মতিউর রহমানের কাছে এডভোকেট শামসুল ইসলাম ভূঁইয়া আওয়ামীলীগের প্রার্থী হিসেবে তার মনোনয়নপত্র জমা দেন। এদিকে মনোনয়নপত্র জমা দেয়াকে কেন্দ্র করে সোনারগাঁ উপজেলা চত্বরে উৎসব মুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়।

 


মনোনয়ন জমা দেয়ার সময় এডভোকেট শামসুল ইসলাম ভূঁইয়ার সাথে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ- ৪ আসনের সাংসদ শামীম ওসমান, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল হাই, সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত মো. শহীদ বাদল, নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক সাংসদ আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত, সোনারগাঁ আওয়ামীলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ইঞ্জিনিয়ার মাসুদুর রহমান মাসুম, জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা.আবু জাফর চৌধুরী বিরু, কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের উপ কমিটির ত্রাণ বিষয়ক সম্পাদক দীপক কুমার বণিক, উপ-কমিটির সাবেক সহ-সম্পাদক এ.এইচ.এম মাসুদ দুলাল, জেলা আওয়ামীলীগের শিল্প ও বানিজ্য বিষয়ক সম্পাদক এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন। সোনারগাঁ আওয়ামীলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য এডভোকেট ইকবাল হোসেন। সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান কালাম, উপজেলা যুবলীগ সভাপতি রফিকুল ইসলাম নান্নু, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী হায়দার, জেলা পরিষদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান মাসুম ও উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মাহমুদা আক্তার ফেন্সি প্রমূখ।