
ফতুল্লায় ধলেশ্বরী ও বুড়িগঙ্গা নদীতে গ্রাফের মাধ্যমে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করছে স্থানীয় সন্ত্রাসীরা। তারা বিআইডব্লিউটিএ ও নৌ-পুলিশকে ম্যানেজ করে দলীয় ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে নদী থেকে মাটি উত্তোলন করে ইট ভাটায় বিক্রি করছে।
১২/১৫ টি গ্রাফের মাধ্যমে প্রতিদিন লাখ লাখ টাকার মাটি বিক্রি করছে। তবে নদী থেকে মাটি উত্তোলনের ফলে নদীর তীর বিলিন হয়ে গেলেও সন্ত্রাসীদের ভয়ে প্রতিবাদ করার সাহস পাচ্ছে না এলাকাবাসী।
এদিকে অভিযোগ রয়েছে ধলেশ্বরী ও বুড়িগঙ্গা নদীতে আনন্দ বাজার এলাকার মতিন হাজী ও মাহাম্মদ মেম্বার নিজেদের বিএনপির নেতার পরিচয় দিয়ে বিশাল একটা সিন্ডিকেট তৈরি নদী থেকে গ্রাফ দিয়ে অবৈধ ভাবে মাটি উত্তোলন করে অন্যত্র বিক্রি করছে।
তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে গেলে হয়রানির শিকার হতে হয়। যার কারনে ভয়ে কেউ প্রতিবাদ করছে না। এতে করে মাটি সন্ত্রাসীরা বীরদর্পে অবৈধ ভাবে নদী থেকে মাটি উত্তোলন করে নিয়ে যাচ্ছে।
সরেজমিনে গিয়ে এবং এলাকাবাসীর সাথে আলোচনা করে জানা যায়, ফতুল্লায় অবস্থিত বুড়িগঙ্গা ও ধলেশ্বরীর মোহনায় মতিন হাজী ও মাহাম্মদ মেম্বারের নেতৃত্বে খইল্লারচর এলাকার সেলিম, শাহ জালাল, আফসার, আনন্দ বাজার এলাকার রতন, জাজিরার এসি আলী, আতাবর, ইমরান, নুর মোহাম্মদ, মাসুম, রানা সহ আরো কয়েকজন মিলে গ্রাফের মাধ্যমে নদী থেকে মাটি উত্তোলন করছে।
যেভাবে নদী থেকে মাটি উত্তোলন করছে দৃশ্য দেখলে চাঁদপুরের মোহনার বালু মহলকেও হার মানায়। দিনেদুপুরে প্রকাশ্যে ভোর সকাল হতে রাত্র পর্যন্ত অবৈধ ভাবে মাটি কেটে নিলেও নৌ-পুলিশ ও বিআইডব্লিউটিএ রসহ্যজনক কারণে নিরব ভূমিকা পালন করছে। নদীর মাটি কাটার ফলে নদীর তীরে অবস্থিত বক্তাবলী ও কোন্ডা এলাকার জমি বিলিন হয়ে যাচ্ছে। এসব এলাকার মানুষের বুক ফাটা কান্না কেউ দেখছে না।
মাটি উত্তোলনকারী সিন্ডিকেটের সদস্য সেলিমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমরা সবাইকে ম্যানেজ করেই মাটি কাটছি। সবাইকে দিয়েই টাকা কামাচ্ছি। এটা তো কোন দোষের কিছু নাই। গ্রাফ দিয়ে মাটি উত্তোলন করে বাল্কহেডে মাটি বিক্রি করছি।
নদীর কোন সমস্যা হচ্ছে না। বিআইডব্লিউটিএ থেকে কাগজ করছি। একপর্যায়ে সেলিম এ প্রতিবেদককে ম্যানেজ করার প্রস্তাব দিয়ে বলেন, সবাইকে তো দেই আপনিও আসেন ভাই। তার পরও নিউজ কইরেন না। আর ৪/৫ হাজার টাকা করে মাটি বিক্রি করে সবাইকে দিয়ে কত টাকাই থাকে ভাই।
ফতুল্লার পাগলা নৌ পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর জানান, ঘটনাস্থল আমাদের এরিয়ায় না এটা অন্য এরিয়ায় পড়েছে খবর নেন। তবে ঘটনাস্থল বক্তাবলী নৌ-পুলিশ ফাড়ি এলাকায়।