নারায়ণগঞ্জে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে জেলা পুলিশের বিশেষ অভিযান অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেইজ-২ এর আওতায় জেলার বিভিন্ন থানায় পৃথক অভিযানে বেশকিছু ফ্যাসিস্টকে গ্রেপ্তার করা হলেও রহস্যজনকভাবে এখনো গ্রেপ্তার হয়নি সিদ্ধিরগঞ্জের ৫নং ওয়ার্ডের আওয়ামী দোসর কবির-মিজানের অন্যতম সন্ত্রাস বাহীনির ক্যাডার ৫ নং ওয়ার্ডের স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ সভাপতি মো: লিটন হোসেন ও তার সহযোগীরা।
এই সন্ত্রাসী লিটনকে দিয়ে কবির-মিজান এলাকায় সাধারণ অসহায় মানুষের জমি-বাড়ি-ঘর জবর দখল সহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী অপকর্ম করতো লিটন। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে কবির-মিজানের সাথে প্রত্যক্ষভাবে উপস্থিত থেকে ছাত্রদের ওপর হামলা চালালেও অদৃশ্যকারনে গ্রেপ্তার হচ্ছে না সন্ত্রাসী লিটন। বর্তমানে এলাকায় প্রকাশ্যে প্রভাব বিস্তার করে চলেছে এই স্বৈরাচারের দোসর।
স্থানীয়রা জানায় ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নির্বিচারে গুলি ও হত্যার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার অন্যতম আসামি সিদ্ধিরগঞ্জ থানা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক কবির হোসেন ও মিজান সহ তাদের অন্যান্য সন্ত্রাসী বাহীনিরা আত্মগোপনে থাকলেও, তার প্রধান সহযোগী ও ম্যানেজার হিসেবে পরিচিত ক্যাডার লিটন হোসেন এখনো এলাকায় বহাল তবিয়তে রয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। লিটন হোসেন নাসিক ৫নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতির দায়িত্বে রয়েছেন।’
স্থানীয়দের অভিযোগ, মামলার প্রধান আসামি কবির ও মিজান সন্ত্রাসী বাহীনিদের নিয়ে পালিয়ে গেলেও তার ‘ডান হাত’ হিসেবে পরিচিত সন্ত্রাসী লিটন ধরা না পড়ায় এলাকায় জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। লিটনের মাধ্যমে সন্ত্রাসী বাহীনি ফের প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছে। অনেকেই আশঙ্কা করছেন, তাকে দ্রুত আইনের আওতায় এনে গ্রেপ্তারের দাবি করেছেন।
এই বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা জানান, হত্যা মামলার সকল আসামিকে গ্রেপ্তারে পুলিশের চিরুনি অভিযান অব্যাহত রয়েছে। অপরাধী যেই হোক না কেন, তাকে আইনের আওতায় আনা হবে। আসামীদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।


































