নারায়ণগঞ্জ টাইমস | Narayanganj Times

শুক্রবার,

১১ জুলাই ২০২৫

বন্দর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতৃত্বে ৪ তরুন প্রার্থী

নারায়ণগঞ্জ টাইমস

প্রকাশিত:০৩:৫৬, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২২

বন্দর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতৃত্বে ৪ তরুন প্রার্থী

অচিরেই নারায়ণগঞ্জ মহানগর ও জেলার আওতাধীণ বিভিন্ন উপজেলাগুলোতে আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের কমিটি হতে যাচ্ছে।  তবে এই কমিটিগুলোর মাধ্যমে দলে আসতে পারে বড় পরিবর্তন এমনই গুঞ্জন রয়েছে। এক্ষেত্রে বন্দর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের কমিটিতে গুরুত্বপূর্ণ পদে ঠাঁই পেতে যেন নতুন নতুন প্রার্থীদের ঘুম নেই। 


তারা স্ব-স্ব পদ পদবীর জন্য যার যার অবস্থান থেকে লবিং করছে খুব জোরে সোরেই। তবে দেশের প্রথম রাজনৈতিক দল আ’লীগ নেতাকর্মীদের সমন্বয়ে গঠিত হবে স্বেচ্ছাসেবক লীগ এর নতুন কমিটি এমনই বলছেন কেন্দ্রীয় নেতারা। 


তবে নতুন নেতৃত্বে কাদের সম্ভাবনা বেশি এই নিয়ে তৃণমূলে রয়েছে ব্যাপক আলোচনা। এক্ষেত্রে তরুনরাই স্থান পাবে বলে জানিয়েছেন তৃনমুল কর্মীরা।


এ ক্ষেত্রে বন্দর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের কমিটিতে সভাপতি প্রার্থী হচ্ছেন বন্দর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ফয়সাল কবির, সাধারন সম্পাদক প্রার্থী বন্দর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারন সম্পাদক আব্দুল আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক সিপন প্রধান ও ইঞ্জিনিয়ার হাসান এর নাম শুনা যাচ্ছে।


তৃণমূলের নেতাকর্মীরা বলছেন, বন্দর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের নতুন নেতৃত্বে সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক হিসেবে তরুন ত্যাগী নেতাদেরই মূল্যায়ন করা উচিৎ।

 

কেননা দলের দূর্দিনে যারা অগ্রনী ভূমিকা পালনসহ জেল-জলুম উপেক্ষা করে আন্দোলন সংগ্রামে সরব ছিলেন দল তাদেরই মূল্যায়ন কারবেন। তবে বন্দর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আগামী দিনের কমিটিতে ত্যাগী ও সাবেক ছাত্রনেতাদেরই মূল্যায়ণ করা হবে বলে ধারনা করা হচ্ছে।


বন্দর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি প্রার্থী ফয়সাল কবির জানান,আমি দীর্ঘদিন বন্দর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি। দলের দূর্দিনে অগ্রনী ভূমিকা পালন করেছি। বিএনপি-জামাত সরকার শাষনামলে হামলা-মামলা খেয়ে পালিয়েছিলাম। 


বিরোধীদলীয় সন্ত্রাসীদের হাতে অনেক নির্যাতিত হয়েছি। তারপরও দল ছেড়ে যাই নাই। আমি দলের একজন কর্মী হিসেবে সভাপতি প্রার্থী হয়েছি। আগামীতে বন্দর স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতৃত্ব পেলে দলের সুনাম সমোজ্জল রাখব ইনশাআল্লাহ।


বন্দর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের অপর সাধারন সম্পাদক প্রার্থী মোঃ হাসান বলেন,আমি বন্দর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সহসভাপতির দায়িত্ব পালন করেছি দীর্ঘদিন যাবৎ।

 

দলের প্রয়োজনে সব সময় ছিলাম। আমি দলীয় একজন নগন্য কর্মী হিসেবে দলীয় সকল কর্মসূচিতে সব সময় অগ্রনী ভূমিকা পালনে সচেষ্ট ছিলাম। দল আমাকে যেভাবে মূল্যায়ন করবে আমি সেভাবেই দায়িত্বে অটল থাকব।


বন্দর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারন সম্পাদক প্রার্থী সিপন প্রধান বলেন, আমি তৃনমূলের প্রার্থী। বিগত কমিটিতে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি। এই কারণে সংগঠনকে আরো সুশৃঙ্খলভাবে সাজাবো বলে সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী হয়েছি।

 

দল আমাকে যোগ্য মনে করবেন বলে আমি বিশ্বাস করি। আমি ছাত্র জীবন থেকে ছাত্রলীগ করেছি। রাজপথে বহু আন্দোলন সংগ্রাম করেছি। আমার পরিবার আওয়ামী লীগ মতাদর্শে বিশ্বাসী। দলের কর্মী হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করে আসছি।  

 

পরে বন্দর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পাই। আশা করছি অভিভাবক নেতারা মূল্যায়ন করবেন।


অন্যদিকে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের অপর সাধারন সম্পাদক প্রার্থী ও সাবেক সাধারন সম্পাদক আব্দুল আলী বলেন,আমি বিগত কমিটিতে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারন সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছি। দল যেভাবে নির্দেশনা দিবে আমি সেভাবেই বঙ্গবন্ধু আদর্শ ধারন করে কাজ করে যাব।