
আড়াইহাজারে সিরাজুল উম্মাহ ক্যাডেট মাদরাসার অর্ধ-বার্ষিক পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ ও পুরষ্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ব্হৃস্পতিবার বেলা ১১ টায় উপজেলার কালাপাহাড়িয়া ইউনিয়নের হাজিরটেক গ্রামে প্রতিষ্ঠানটির হল রুমে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হামিদ এর সভাপতিত্বে ও প্রতিষ্ঠাতা প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা গোলাম মোস্তফা সিরাজীর সঞ্চালনায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কালাপাহাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৮ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মফিজ উদ্দিন, সাবেক ইউপি সদস্য আঃ বারেক, মো. ইদ্রিস আলী প্রধান ও আঃ বারেক।
ফলাফল প্রকাশ ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন উক্ত প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা প্রিন্সিপাল ও অনুষ্ঠানের সঞ্চালক হাফেজ মাওলানা গোলাম মোস্তফা সিরাজী।
তিনি তার বক্তব্যে বলেন,মাদরাসার ছাত্র-ছাত্রীদের এ ফলাফল ধরে রাখতে হলে সকল শিক্ষককে একই পরিবার ভূক্ত হয়ে কাজ করতে হবে। ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়মিত মাদরাসায় উপস্থিত থেকে ক্লাসে মনোযোগী হওয়ার এবং পাঠদানের সময় ছাত্র-ছাত্রীরা কোন বিষয়ে না বুঝলে সে বিষয় নিয়ে শিক্ষকদের সাথে পরামর্শ করার কথাও তিনি তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন।
এছাড়াও অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা আপনাদের সন্তান মাদরাসা থেকে বাসায় যাওয়ার পর খেয়াল রাখবেন তারা ঠিক মত পড়াশোনা করছে কি না। এছাড়াও অভিভাবকদের মাদরাসার শিক্ষকদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখার পরামর্শ দেন।
তিনি আরও বলেন, ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষার মান উন্নয়নে মাদরাসাটি অন্যতম প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে নিরলস ভাবে আমরা সকল শিক্ষক মিলে প্রচেষ্টা করছি। আশা করছি ভবিষ্যতে এই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার মান আরও উন্নত হবে এব্যাপারে আমরা খুবই আন্তরিক।
তিনি উপস্থিত সকলের কাছে আশা প্রকাশ করে বলেন, আগামীতে সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে যেন প্রতিষ্ঠানটি চালাতে পারি সেই জন্য সকলের সহযোগিতা কামনা করছি।
আলোচনা শেষে প্রতিষ্ঠানটির নার্সারি থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত মেধা তালিকায় ২৩ জন এ প্লাম কৃতিত্ব অর্জনকারী শিক্ষার্থীদের পুরস্কৃত করা হয়। এছাড়াও ৩২ জন ছাত্র-ছাত্রী পর্যায়ক্রমে এ গ্রেড এ- পেয়ে উত্তর্ঢু তাদেরও এই অনুষ্ঠানে পুরস্কৃত করা হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- মুফতি আলআমিন আড়াইহাজারী,মাওলানা আবু বকর,মাওলানা মো.শেখ ফরিদ, মাওলানা মো. ওয়াসিম আকরাম, হাফেজ আশ্রাফুল ইসলাম, হাজী আবুল কাশেম ও জাহাঙ্গীর হোসেন।
অভিভাবকদের মধ্যে ছিলেন মো. নাজিমুদ্দিন, মো. বিল্লাল হোসেন, মো. মোতালিব হোসেন, মো. হারুনুর রশিদসহ প্রায় শতাধিক মহিলা অভিভাবক এবং মাদরাসার সকল শিক্ষক-শিক্ষিকা ও কর্মচারীবৃন্দ।