সিদ্ধিরগঞ্জের একাধিক মামলার আসামি, পেশাধার ছিনতাইকারী ও মাদক ব্যবসায়ি জসিম গ্রেপ্তার হলেও বাকিরা অধরা। সিদ্ধিরগঞ্জের নামধারী যুবলীগ নেতা টাইগার ফারুক ও মহানগর ছাত্রদল নেতা জুয়েল এর ভাই জসিম (৩৫) কে গ্রেপ্তার করেছে থানা পুলিশ।
গত সোমবার (১ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে মিজমিজি টিসি রোড এলাকার মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল করিমের বাড়ির সামনের গলি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার কাছ থেকে বিদেশী একটি চাকু (সুইচ গিয়ার) ও ছিনতাইকৃত দুটি মোবাইল ফোন সেট উদ্ধার করা হয়।
রবিবার (৭ ফেব্রুয়ারি) নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আহমেদ হুমায়ুন কবিরের আদালত জসিমকে ২দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এরআগে পুলিশ ৭দিনের রিমান্ড আবেদন করে। শুনানী শেষে আদালত ২দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোর্ট পুলিশের এ এস আই রোকন উজ্জামান।
গ্রেপ্তারকৃত জসিম, নামধারী যুবলীগ নেতা টাইগার ফারুক ওরফে চিকনা ফারুক এবং মহানগর ছাত্রদল নেতা মোঃ জুয়েল হোসেন এর ভাই, আদমজী জুটমিলের শ্রমিক দল নেতা আবু সাঈদের ছেলে। বর্তমানে তারা সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন নাসিক ১নং ওয়ার্ড এর মিজমিজি পাগলাবাড়ি এলাকায় প্রায় ৫কাটা জমির উপর ৫তলা বাড়ী করে বীরদর্পে দিন কাটাচ্ছে।
এদিকে তাদের তয় ছোট ভাই বিএনপি ছাত্রদলের নেতা জুয়েল, আওয়ামীলীগ দলীয় নামধারী নেতা টাইগার ফারুকের দাপটে মিজিমিজি মতিন হুজুরের বাড়ী দিকে জায়গায় নিয়ে বালুভরাট এর কাজ করছে, অন্যদিকে বিএনপি দলের নেতারা সবকিছু বেচে রাজনীতিতে শেষ। আইয়েশেই করছে বিএনপি দলের রাজনীতি।
আর জসিমের চালাচ্ছে মাদক, চুরি, ছিনতাই, মারামারী, নারী নিয়ে ফর্তি সেই আদমজীর নিউকলোনী থেকে এসে এরা এলাকাটা মনে করে কলোনী।
সিদ্ধিরগঞ্জের পাড়া-মহল্লায় ও অলিতে-গলিতে অবাধে চালিয়ে যাচ্ছে মাদক, এসব বিভিন্ন সূত্রে জানায়, সিদ্ধিরগঞ্জ কবরস্থানের পিছনে, সিআই খোলা বৌ-বাজার, তেরা মার্কেট, আল আমিন নগর, মজিব নগর, কাঠেরপুল, সাইলোরোড এর চৌরাবাড়ী পাম্প সংলগ্ন, পুকুরপার, গেরেজ, সাইলোগেট, নদীর পাড়, আজিবপুর রেলনাইন,মিজমিজি পাগলাবাড়িসহ অলিগলিতে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেদাপিয়ে বেড়াচ্ছে।
এরা হলো- চাঁনবাদশা (চাঁন্দু), তার স্ত্রী সুমি, কথিত সোর্স, ডাকাতি মামলার আসামী, বর্তমান মাদক ব্যবসায়ী ইলিয়াস, শুভ, ইমরান, পলাশ, সোয়াদ, খোকন, মানিক, দেলুসহ আরো অনেকেই।
নারায়ণগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ মাদকদ্রব্যসহ একাধিকবার গ্রেফতারও করেছে। তাদের বিরুদ্ধে একাধিক মাদক মামলাও রয়েছে। যতবারই তারা গ্রেফতার হয়েছে কিছুদিন পর আদালত থেকে জামিনে বের হয়ে অভিনব কৌশলে আবারো মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।
কথিত কিছু সোর্স’সহ এদের একটি সিন্ডিকেট তৈরী করে এ মাদক ব্যবসাটি চালিয়ে আসছে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানায়। তারা শক্তিশালী একটি সংঘবদ্ধ সিন্ডিকেট গড়ে তুলে, যার ফলে ধ্বংস হচ্ছে যুবসমাজ, বৃদ্ধি পাচ্ছে এলাকায় মারামারী রক্তক্ষয়ী সংঘর্স, ছিনতাই, চুরি, ধর্ষণ সামাজিক অপরাধ।
তবে রহস্যজনক কারনে স্থানীয় কিছু বড় ভাইয়েরা দেখলেও সুবিদা পেয়ে দেখেনা, যেমন- তাদের কথা শুনা, ডাকদিলেই পাওয়া যায়, মিটিং, মিছিল, রাস্তায় ফিটিং,বড় ভাইদের সেবনের জন্য ফ্রি পাওয়া, কেও মানতিও খায়, (মানে প্রতিদিন কিছু খরচ) স্থানীয়দের এ-ই অবস্থ দেখে কোনঠাসা হয়ে একখ নিরব বসবাসকারীরা, যারা এখানে এসে বাড়ী-ঘর করে বসবাস করছে।
বসবাসকারী নিরহ জনসাধারণ প্রশাসনের প্রতি স্বুদৃস্টিতে গোয়েন্দা সংখ্যা মাধ্যমে সুষ্ঠ তদন্ত করে এই ছিনতাইকারী, চোর, ধর্ষণকারী ও মাদক ব্যবসায়ীদের, বিষাক্ত এ ছোবল থেকে যুবসমাজকে রক্ষা করতে এসব মাদক ব্যবসায়ী ও তার মদদ দাতাদের বিরদ্ধে আইনগত ব্যাবস্থা গ্রহন করার অনুরোধ জানান র্যাব-১১ ও নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপারের হস্থক্ষেপ কামনা করছেন এলাকার সচেতন মহল।